ধূপগুড়ির এক শিশুর বিরল রোগ, সাহায্যের জন্য মানবিক আবেদন পদ্মশ্রী এবং বিধায়কের

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ গত দু বছর ধরে কিছুতেই কাশি কমছিলো না বছর সাড়ে তিন বছরের এক শিশু কন্যার। ঝাড় ফুক থেকে যক্ষার ওষুধ, কিছুতেই কমছিলো না তার সারাক্ষন ধরে চলা কাশি।অবশেষে বিধায়কের তৎপরতার নির্নয় হোলো অতি বিরল সিস্টিক ফাইব্রোসিস রোগ বাসা বেধেছে তার ফুসফুসে। আর এই রোগ নির্নয় হবার পরে মেয়ের চিকিৎসা কিভাবে করাবে তা নিয়ে আরো বিপাকে পড়ে যান ফুটপাতের দর্জি কৃষ্ণ দাস। জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ১ নং ওয়ার্ডের জঙ্গল পাড়া এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণ দাস পেশায় দর্জির কারিগর। তার একমাত্র সন্তান তানিশা দাসের দেড় বছর বয়স থেকে কাশি শুরু হয়।শেষে

তিনি গুগল সার্চ করে ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালী রায়ের ফোন নম্বর যোগাড় করে তার সমস্যার কথা জানিয়ে হোয়াটসএপ ম্যাসেজের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। ম্যাসেজ দেখে পরেরদিন তিনি হাজির হন তার বাড়িতে। বাচ্চা মেয়ের কষ্ট দেখে তার মন কেদে ওঠে। তিনি উদ্যোগী হয়ে যোগাযোগ শুরু করেন চিকিৎসকদের কাছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি নিজের উদ্যোগে তানিশাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানোর ব্যাবস্থা করেন। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষার পর জানিয়ে দেন ছোট্ট মেয়েটির ফুসফুসে বাসা বেধেছে জটিল ও বিরল রোগ সিস্টিক ফাইব্রোসিস। ফলে আগামী দিনে ব্যায়বহুল এই চিকিৎসা কিভাবে করাবে তা নিয়ে আরো সমস্যায় পড়ে যায় দরিদ্র এই পরিবার। ঠিক সেই মুহুর্তে আবার এগিয়ে আসেন বিধায়ক মিতালি রায়। তিনি তনিমাকে নিজের ছোট মেয়ে এই আখ্যা দিয়ে তার সুচিকিৎসার প্রয়োজন এই মর্মে ফেসবুক পোস্ট করেন। আর তার কিছুক্ষন পর তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করেন পদ্মশ্রী করিমুল হক।

পদ্মশ্রী করিমুল হক বলেন, মিতালি রায়ের ফেসবুক পোস্ট দেখে মুম্বাই এর এক ব্যাক্তি তাকে বলেন আপনার জেলার এক বিধায়কের মেয়ে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আপনি তার বিশদ জেনে আমাকে জানান। তিনি ফোন পেয়ে তড়িঘড়ি মিতালী রায়কে ফোন করেন। সবকিছু শুনবার পর বৃহস্পতিবার বিকেলে তার বাড়ি আসেন। সবকিছু খোঁজ নিয়ে তিনি শিশুটির মেডিক্যাল রিপোর্ট কলকাতা সহ দেশের কয়েকটি বড় হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। এরমধ্যে কলকাতার এক হাসপাতাল শিশুটিকে তাদের কাছে নিয়ে আসতে অনুরোধ করেছে বলে জানান তিনি। মিতালী রায় বলেন, আমি ব্যাক্তিগতভাবে খোঁজ নিয়ে দেখেছি এই রোগ সংক্রান্ত একেকটি ইঞ্জেকশনের দাম অনেক টাকা। এই দরিদ্র পরিবারের পক্ষে বাইরের হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সেখানে দীর্ঘদিন থেকে চিকিৎসা করিয়ে সারিয়ে বাড়ি নিয়ে আসতে যে পরিমান খরচ হবে তা এই দরিদ্র পরিবারের পক্ষে বহন করা কার্যত অসম্ভব। তাই কোনো সহৃদয় ব্যাক্তি বা সংস্থা এগিয়ে এলে এই পরিবারটির খুব উপকার হবে বলে জানান তিনি।