
শিল্পী পালিত ঃ অনু গল্প লিখেই অভূতপূর্ব আনন্দ লাভ করেন প্রদ্যুৎ রাজগুরু।আজ তিনি লিখেছেন তাঁর আত্মকথায়–

রসেবসে আমি —-/বাঁকুড়া জেলার বেলিয়াতোড় থানার অন্তর্গত দধিমুখা গ্রামে আমার জন্ম l এলাকার সাহিত্য ও সংস্কৃতির পীঠস্থান এই গ্রাম l গ্রামের রাজগুরু পরিবারে জন্ম আমার lপ্রয়াত শ্রদ্ধেয় দাদা, বাসুদেব চট্টরাজ এর ভাষায় বলি — আমার মনের বীনায় সদাই বাজে, মধুর সে এক নাম/ সাদামাটা নামটি যে তার দধিমুখা গ্রাম l সেই শৈশব থেকেই এই গ্রামে বসেই অন্তরে লালন করেছি শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন l বাবা-মা, জেঠু, দাদারা সকলেই শিক্ষকতার মত আদর্শ কাজে নিযুক্ত ছিলেন l শৈশব থেকেই অন্তরে বাসা বেঁধেছিল হাস্য-রসিকতা l বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত, দুঃখ-বেদনার মাঝেও হাস্যরস এখনো আমার বেঁচে থাকার রসদ l গ্রামের বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাস করে, আমি পাড়ি দিলাম সুদূর উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি শহরে l একজন আদর্শ শিক্ষক হওয়ার লক্ষ্যে, শুরু হলো আমার দৌড় l বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, মানবদরদি আমার জেঠু, স্বর্গীয় সুধীর কুমার রাজগুরু সান্নিধ্যে , শুরু হয়েছিল স্বপ্নপূরণের পালা l আরেকটি বরেণ্য মানুষ যার সাহায্য ছাড়া হয়তো এই জায়গায় পৌঁছাতে পারতাম না — তিনি আর কেউ নন, আমার শ্রদ্ধেয় দাদা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শিক্ষক পল্লব কান্তি রাজগুরু l যাক অবশেষে আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল l 2005 সালে উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া থানার অন্তর্গত St.Ignatius High School (H.S.) এ স্থায়ী শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হই l ছোটবেলা থেকেই সাহিত্য, সংস্কৃতির প্রতি ছিল অগাধ ভালোবাসা l বিশিষ্ট সাহিত্যকর্মী , দাদা বিশ্বরূপ রাজগুরু ও বিদ্যুৎ রাজগুরু সান্নিধ্যে এসে , শুরু করলাম অনুগল্প লেখা l অনুগল্প লিখে আমি অভূতপূর্ব আনন্দ লাভ করে থাকি l বিভিন্ন দৈনিক সংবাদ পত্রে ও মেগাজিনে আমার অনুগল্প প্রকাশিত হয়েছে l এই ভাবেই রসেবসে, একজন সাহিত্য কর্মী হিসেবে, দিনগুলো কাটাতে চাই l আমি জানি, দুঃখ ও বেদনা ভরা এই জীবনে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসই একমাত্র দিতে পারে অনাবিল আনন্দ l
প্রদ্যুৎ রাজগুরু
শিক্ষক , St.Ignatius High School (H.S.)Majlispur ,
Via kanki , uttar Dinajpur .