
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ দোলযাত্রা বা হোলিতে আজকাল বিভিন্নরকম কেমিক্যাল রং-আবীর ব্যবহার হয়। আর তা থেকে ত্বকের নানান সমস্যা তৈরি হয়। এই অবস্থায় কিভাবে দোল খেলবেন, তা নিয়ে বেশ কিছু পরামর্শ খবরের ঘন্টার কাছে জানিয়েছেন শিলিগুড়ি স্কীন সিটির ত্বক বিশেষজ্ঞ ডাঃ পি কে ভোপালকা। শিলিগুড়ি মেঘদূত সিনেমা হলের পাশে তাঁর চেম্বার। দোলযাত্রা বা হোলিতে ত্বকের যত্ন নিয়ে তিনি অনেক কথাই জানিয়েছেন। একইসঙ্গে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা আবহাওয়া পরিবর্তন থেকে যে ত্বকের রোগ বাড়ছে সেকথাও তিনি জানিয়েছেন। আজিনা মটর সম্বলিত মমো, চাউমিনও যে ত্বকের বহু রোগ বাড়িয়ে দিচ্ছে সেকথাও তিনি জানিয়েছেন।

ত্বক বিশেষজ্ঞ ডাঃ পি কে ভোপালকা বলেছেন, কেমিক্যাল রংয়ের ব্যবহার ত্বকের ক্ষতি করে। হোলির পর আমরা দেখি, ত্বকের রোগী বৃদ্ধি পায়। ভেষজ রং ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। রং খেলতে বের হওয়ার আগে শরীরে কেস্টর্ড ওয়েল, কোকোনাট ওয়েল শরীরে লাগিয়ে নিলে ভালো। আইসকিউব ব্যবহার করে নিতে পারেন তাতে ত্বকের ছিদ্রগুলো এমন হয় যে রং তাতে প্রবেশ করতে পারে না। মাথায় বা চুলে তেল লাগিয়ে নিতে পারেন। রং খেলে আসার পরও সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। কেরোসিন তেল ব্যবহার করে রং তুললে শরীরে জ্বলুনি হয়। তাছাড়া এতে ত্বক বেশ কিছু দিন শুস্ক হয়ে পড়ে। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। রং খেলে আসার পর এমনতিই কিছু রং বা আবীর চলে যায়। তাছাড়া দুধ, বেশন, সরষে তেলের দ্রবন তৈরি করে ব্যবহার করা যায়। তাতে ত্বক ভালো থাকবে। যেহেতু করোনা চলছে তাই মুখে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। ডাঃ ভোপালকা আরও জানিয়েছেন, শিলিগুড়ি মেঘদূত সিনেমা হলের পাশে তাদের স্কীন সিটি অবস্থিত। সেখানে ত্বকের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা হয়। অত্যাধুনিক লেজার মেশিন দিয়ে দিল্লি,মুম্বাইয়ের মতো চিকিৎসা করেন তাঁরা। কসমেটিক সার্জারিও হয়। এখন গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর আবহাওয়া পরিবর্তনের জেরে পিগমেন্টেশন, ফাংগাল ইনফেকশন, ইচিং প্রভৃতি সমস্যা বেড়ে গিয়েছে। তাই রোদে বের হওয়ার সময় সাবধানতা জরুরি। ময়েশ্চারাইজার, সান স্ক্রীন এজন্য ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও আজিনা মটর সম্বলিত মমো, চাউমিন খাওয়ার জেরে এখন শৈশব থেকেই এলার্জি বাড়ছে। ঘরের তৈরি খাবার, শাকসবজি, ফল, দুধ, স্যালাড, ডিম এজন্য গ্রহণ করার পরামর্শ তিনি দিয়েছেন।