করোনার দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিভিন্ন মানবিক কর্মসূচিতে লায়ন্স ক্লাব

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে বাড়ি বাড়ি খাবার ও ওষুধ পৌছনো সবেতেই মানবিক ও সংবেদনশীল মন নিয়ে কাজ করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বহু মানুষের নজর কাড়ছে লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল ৩২২এফ এর বিভিন্ন শাখা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অসহায় মানুষের পাশে পুরোদমে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে লায়ন্স ক্লাব অফ ইন্টারন্যাশনাল ৩২২এফ এর উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের ১২২টি ক্লাব।শিলিগুড়ি ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় লায়ন্সের ৫২টি ক্লাব দিনরাত মানুষের সেবা দিয়ে চলেছে। সোমবার খবরের ঘন্টাকে লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল ৩২২এফ এর গ্লোবাল একশন টিমের পরিষেবা বিভাগের কো-অর্ডিনেটর লায়ন সুরেশ সিনহাল ওই খবর দিয়েছেন। সুরেশবাবু আরও জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে রয়েছেন আরও একজন পরিষেবা কো-অর্ডিনেটর বিষ্ণু কেডিয়া, তাছাড়া ডিস্ট্রিক্ট গর্ভনর লায়ন অভিজিৎ সেনতো রয়েছেনই।লায়ন্স ক্লাব অক্সিজেনের পাশাপাশি করোনার টিকাকরনও করছে।প্রায় ১২ হাজার মানুষকে শিলিগুড়ি ও তার আশপাশে টিকা দিয়েছেন। করোনা আক্রান্ত পরিবারগুলোকে তাঁরা ধারাবাহিকভাবে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। বিনামূল্যে তাদের প্রায় ছটি এম্বুলেন্স সবসময় পরিষেবা দিয়ে চলেছে। শিলিগুড়ি ও তার আশপাশের বস্তি এলাকাগুলোতে প্রতিদিন প্রায় আটশ প্যাকেট রান্না করা খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন লায়ন্স ক্লাবের বিভিন্ন শাখার সদস্যরা।তাছাড়া আবার প্রতিদিন প্রায় চারশ প্যাকেট সুকনো খাবার বিতরন করা হচ্ছে। তার বাইরে করোনা আক্রান্তের বাড়ি বিনামূল্যে স্যানিটাইজেশন, অনলাইনে চিকিৎসার বন্দোবস্ত, মাস্ক, অক্সিমিটার, , ভেপোরাইজার বিলি করা হচ্ছে। করোনার এই সঙ্কটে রক্তের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেদিকেও তাঁরা প্রয়োজনীয় নজর রাখছেন বলেও লায়ন সুরেশ সিনহল জানিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, অমিত আগরওয়ালা ফাউন্ডেশন এর সঙ্গে যৌথ ভাবে কাওয়াখালির পাশে সেফ হোমও চালু করেছেন। করোনা শুরু হওয়ার আগে অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ে লায়ন্স ক্লাবের শাখা সংগঠনগুলো কাজ করেছে মানবিক ও সামাজিক ভাবনা নিয়ে। এখন করোনাকে বিশেষ প্রাধান্য দিয়ে কাজ হচ্ছে। এমনকি আগামীতে বিশেষ কিছু স্পনসর পাওয়া গেলে বিনামূল্যে টিকাকরনের ভাবনাতেও তাঁরা রয়েছেন বলে সুরেশবাবু জানিয়েছেন।