
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ অপরাধ দমন, চোর ডাকাত ধরা এসব কাজতো আছেই।কিন্তু পুলিশেরও বিরাট দায়িত্ব রয়েছে পরিবেশ রক্ষার জন্য। তাই নিজের নির্ধারিত ডিউটির পাশাপাশি সবসময় পরিবেশ বন্যপ্রাণী নিয়ে ভেবে যাচ্ছেন রাষ্ট্র পতি পুরস্কার প্রাপ্ত পুলিশ অফিসার অচিন্ত্য গুপ্ত। এখন তিনি শিলিগুড়ি মহকুমার ডি এস পি রুরাল হিসাবে কর্মরত। বিধান নগরে নিজের কর্মস্থলের পাশে তিনি লক্ষ্য করেন অনেকটা ফাঁকা জমি রয়েছে। ব্যস আর কি বসে থাকা যায়।তাই উদ্যোগ নিয়ে ফেলেন বৃক্ষরোপনের জন্য। শুক্রবার সেই বৃক্ষরোপন হল।প্রচুর গাছের চারা এদিন সেখানে রোপন করা হয়েছে শিলিগুড়ির পরিবেশ প্রেমী সংগঠন অপটোপিকের সহযোগিতায়। অচিন্ত্যবাবু নিজেও অপটোপিকের সক্রিয় সদস্য। সবুজ পরিবেশ তৈরি করা এবং পশুপাখি রক্ষা করার মতো এক গুরুত্বপূর্ণ কাজ দিনের পর দিন করে চলেছেন এই পুলিশ অফিসার। সবুজায়নের সঙ্গে থাকাটা যেন তাঁর এক বিরাট নেশা। এর আগে ফুলবাড়িতে পিকনিকের নামে পরিযায়ী পাখিদের বিরক্ত করার কাজ বন্ধ করতে অপটোপিক উদ্যোগ গ্রহণ করলে তাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন অচিন্ত্যবাবু।এবার নিজের অফিসের পাশেই সবুজ আর সবুজের পরিবেশ তৈরি করতে তিনি প্রয়াস নিলেন।পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের আর এক বিখ্যাত পরিবেশ প্রেমী দীপজ্যোতি চক্রবর্তী সংগঠনের অন্য সদস্যদের নিয়ে এদিন বিধান নগরে উপস্থিত হন।প্রচুর গাছ তাঁরা রোপণ করেন সেখানে। দীপজ্যোতিবাবু বলেন,আমরা যত বৃক্ষরোপন করি সব বৃক্ষই যাতে বাঁচে তার প্রয়াস নিই।শুধু গাছ লাগালেই হবে না, গাছ বাঁচাতে হবে।আর গাছ বাঁচানো সকলের দায়িত্ব। একটি গাছও যাতে না মরে তা দেখতে হবে।এদিন বিধান নগর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শিবেশ ভৌমিকও সেই কাজে উৎসাহ দিতে উপস্থিত হন অনুষ্ঠানে।
এদিনের এই অনুষ্ঠানে জারুল, মেহগনি, চিকরাশি, মেহগনি, বয়রা প্রভৃতি গাছ রোপন করা হয়। অপটোপিকের তরফে দীপজ্যোতি চক্রবর্তী ছাড়াও সম্পাদক সন্টু দত্ত, সঞ্জয় আগরওয়ালা, রাকেশ শা,মুকেশ নাহাটা, পঙ্কজ বালা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
