
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ মহিলাদের স্বনির্ভর করতে মাছ চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইসলামপুর ব্লক প্রশাসন। স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দপ্তরের আর্থিক সহযোগিতায় ও মৎস্যদপ্তরের পরিচালনায় ব্লকের ৩১টি স্বনির্ভর দলের মহিলাদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ব্লক প্রশাসন। যাঁরা প্রশিক্ষণ পাবেন, তাঁদের তালিকা ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে। ২ থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ইসলামপুর শহরের সূর্য সেন মঞ্চে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দপ্তরের ইসলামপুরের সুপারভাইজার শুভঙ্কর কুণ্ডু বলেন, গত বছর ৬৬টি স্বনির্ভর দলকে পোল্ট্রি ফার্ম তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। একটি মহিলা দলকে মাছ চাষের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। এতে সাফল্য মিলেছে। এবার মৎস্যদপ্তরের সহযোগিতায় ৩১টি স্বনির্ভর দলের মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য, ব্লকে যত স্বানির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে, তারমধ্যে অন্তত অর্ধেক দলকে স্বনির্ভর করা। মহিলাদের স্বনির্ভর করাই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
মৎস্যদপ্তরের ইসলামপুর ব্লক আধিকারিক সত্যজিৎ দাস বলেন, এই প্রকল্পে যাদের নিজস্ব বা লিজে নেওয়া পুকুর আছে, এমন স্বনির্ভর মহিলা দলগুলিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই ধরনের দলগুলিকে আগেই একটি স্কিম তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। তাতে কী ধরনের মাছ চাষ হবে, কত খরচ হবে তা বলা হয়েছে। এবার তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে তাদেরকে মাছের পোনা, সার, জাল সহ অন্যন্য জিনিসপত্র দেওয়া হবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ৩১টি মহিলা দল এই প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ নেবে। প্রতিটি দল থেকে তিনজন করে প্রশিক্ষণ নেবেন। পরে তাদের পুকুরের আয়তনের উপর ভিত্তিতে মাছের পোনা, চুন, সার, দুই ধরনের জাল ও অন্যান্য সরঞ্জাম দেওয়া হবে।
বাসিন্দাদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের স্বানির্ভর করতে একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। প্রশিক্ষণ দেওয়া, লোনের সুবিধা, উৎপাদিত পণ্য বিক্রির জন্য বাজার সহ বিভিন্নভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। জল ধরো, জল ভরো প্রকল্পের মাধ্যমে জল সংরক্ষণের জন্য প্রচুর জলাশয় সংস্কার করা হয়েছে। প্রকল্পের মাধ্যমে অনেক পুকুর খনন হয়েছে। মাছ আমাদের প্রোটিনের চাহিদা মেটায়। তাই বাজারে মাছের চাহিদা প্রচুর। গ্রামাঞ্চলে মহিলারা মাছ চাষ করে পরিবারের জন্য একটু বেশি রোজগার করে স্বানির্ভর হতে পারবেন। স্থানীয় মাছের চাহিদা অনেক বেশি। তাই পুকুরে মাছ চাষ করে উৎপাদিত মাছের দাম ভালো পাওয়া যায়। নদীয়ালি মাছ বাজারে চাহিদার তুলনায় কম পাওয়া যায়। পুকুরের মাছ মানুষের চাহিদা মেটায়। স্থানীয়দের দাবি, এই ধরনের প্রশিক্ষণে আরও বেশি সংখ্যক মহিলাকে যুক্ত করতে হবে।
