
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ করোনা পরিস্থিতিতে বহু মানুষের মন অসুস্থ। কারও বাবা মায়ের মৃত্যু হয়েছে করোনায়,কারও আবার সন্তান বিয়োগ হয়েছে। অনেকের আবার কাজ নেই। অর্থনৈতিক সঙ্কটও বড় সঙ্কট। এই অবস্থায় বহু মানুষ মনের দিক থেকে অসুস্থ। অনেকেই অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।আর সেই অবস্থায় মানুষের মন নেতিবাচক ভাবনা থেকে কিভাবে ইতিবাচক ভাবনার দিকে যেতে পারে, কিভাবে মানুষ অবসাদ কাটিয়ে উঠতে পারে তারজন্য কাউন্সেলিংয়ের কাজে নেমেছেন বিহারের কাটিহার নিবাসী সুভাষ স্যামুয়েল। বিহার থেকে শিলিগুড়ি শালবাড়িতে এসেও তিনি মানুষের মধ্যে প্রচার করছেন ইতিবাচক ভাবনার কথা। শিলিগুড়ি শালবাড়িতে বেথেল চার্চ এসোসিয়েশন ধারাবাহিকভাবে চা বাগান এবং অন্যত্র অনগ্রসর মানুষদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছে।আর তার
ফাঁকে মানুষের মনকেও উজ্জীবিত করার কাজ চলছে। সেই কাজে অংশ নিচ্ছেন ষাটোর্ধ সুভাষবাবু।১৯৭০ সাল থেকে তিনি মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। একসময় বিহারের কাটিহার লাগোয়া অঞ্চলে সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর সময় রাস্তায় পড়ে থাকা অসুস্থদের নিজের সাইকেলে চাপিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দিতেন। পরে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো ভবঘুরে শিশুদের জন্য একটি পুর্নবাসন কেন্দ্র খুলে তিনি তাঁর বিরাট সংবেদনশীলতার পরিচয় দেন। বেথেল চার্চ এসোসিয়েশনের তত্বাবধানে কাটিহারে ভবঘুরে শিশুদের শিক্ষার জন্য একটি স্কুল রয়েছে, তার নাম বেথেল।সেই স্কুলও মূলত পরিচালনা করেন সুভাষবাবু।এখন এই করোনা পরিস্থিতিতে তিনি
বেরিয়েছেন ইতিবাচক ভাবনার প্রচারে।তিনি বলছেন, জন্ম মৃত্যু আমাদের হাতে নেই। দুঃখের পরই সুখ আসে, সুখের পর দুঃখ। কাজেই জীবনে সঙ্কট আসবেই, সেই সঙ্কটে আমরা যেন ঘাবড়ে না যাই।অন্যের দুঃখ বোঝার চেষ্টা করা, বিপদের দিনে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, গরিবদুঃখীদের সেবা করার মাধ্যমে আমরা আমাদের সঙ্কট কাটিয়ে ইতিবাচক ভাবনাকে জোরদার করতে পারি।আর জীবনের এই দুর্যোগের সময় নেতিবাচক ভাবনাক একদম প্রাধান্য নয়।
