
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ থানায় প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে টম এন্ড জেরি থেকে মটু-পাতলু চিত্র। পাশাপাশি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি বসানো হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে দোলনা। বড়দের জন্য বসার আধুনিক ব্যবস্থা। চতুর্দিকে সারি সারি ফুলের গাছ। আর তার মধ্যে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ছোটদের মনোরঞ্জনের জন্য রকমারি কার্টুনের চিত্র। মালদার ইংরেজবাজারে মহিলা থানাকে এরকম ভাবেই নব রূপে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন আইসি তারিফা খাতুন। তাঁর কথায়, বিভিন্ন নির্যাতনের ঘটনায় নাবালিকা থেকে যুবতী এবং মধ্য বয়স্ক মহিলারা থানায় অভিযোগ জানাতে আসেন। কেউ জানান ধর্ষণের অভিযোগ, কেউ আবার নির্যাতনের মানসিক চাপ নিয়ে অভিযোগ জানাতে আসেন। মহিলা এবং নাবালিকা অভিযোগকারীদের মানসিক চাপ ক্ষণিকের জন্য মেটাতেই এই ধরনের মুক্ত পরিবেশ তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা এতদিন ছিল না।
মালদা শহরের নেতাজি সুভাষ রোড পেরিয়ে দুর্গা বাড়ি যাওয়ার পথে পুরসভার রাস্তার ধারে রয়েছে ইংরেজবাজার মহিলা থানাটি। এই মহিলা থানার পাশে রয়েছে সাইবারক্রাইম থানা। আর সেই থানা চত্বরে শিশুদের রকমারি কার্টুনের চিত্র, মনীষীদের ছবি এবং ফুলের বাগানে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।
ইংরেজবাজার মহিলা থানার এই উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারপার্সন চৈতালি সরকার। তিনি বলেন, মহিলা থানার আইসি উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কার্টুনের চিত্র , মনীষীদের ছবি ফুলের বাগান সহ বিভিন্ন ভাবে সাজিয়ে তুলেছেন। এর ফলে যেসব নির্যাতিত নাবালিকা বা মহিলারা থানায় অভিযোগ জানাতে আসবেন, ক্ষণিকের জন্য হলেও তাদের মনের অস্থিরতা কাটবে । এমনকি শিশুদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বিভিন্ন কার্টুনের চিত্র দিয়ে একটি ঘর তৈরি করা হয়েছে। এটা খুব ভাল উদ্যোগ।
ইংরেজবাজার মহিলা থানার আইসি তারিফা খাতুন জানিয়েছেন, অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় বিভিন্ন ঘটনায় নাবালিকা ধর্ষণ অথবা গৃহবধূ নির্যাতনের অভিযোগ থানায় জমা দিতে আসেন অভিযোগকারীরা। সেই অবস্থায় তাদের মানসিক দুর্বলতা প্রকাশ পেতেও দেখেছি। সকলের ক্ষেত্রে কাউন্সেলিং করাটাও সম্ভব হয় না। নির্যাতিতাদের স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফেরানোর ক্ষেত্রে এই ধরনের সুশৃংখল পরিবেশ প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করি। তাই এভাবেই মহিলা থানা চত্বরকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। যারফলে তাদের মানসিকতার পরিবর্তন আসবে ।
