ভিলেনের অভিনয় করে যাত্রা মঞ্চেই জুতো পেটা খেয়েছিলেন তিনি

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ একবার যাত্রা মঞ্চে তিনি এত সুন্দরভাবে এক ভিলেনের চরিত্র ফুটিয়ে তোলেন যে যাত্রা দেখতে আসা মহিলা দর্শকরা মঞ্চের মধ্যেই সেই ভিলেন চরিত্র মানে তাঁকে জুতো পেটা করেন।সেই জুতো পেটা খেয়ে তাঁর শরীর কদিন ব্যথা বিষ হয়ে থাকলেও মনে মনে তাঁর সান্ত্বনা ছিল যে সঠিকভাবে অভিনয় দক্ষতা ফুটিয়ে তুলতে পেরেছিলেন। আজও এই ৫৬ বছর বয়সে যাত্রার অভিনয়ে স্মরনীয় ঘটনার স্মৃতি আওড়াতে গিয়ে জুতো পেটার কাহিনী তুলে ধরেন সন্তোষ দাস। ছেলেবেলায় ফালাকাটাতে অন্যরকম এক সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে তিনি বড় হয়ে ওঠেন। তাঁর বাবা ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী। ছোট থেকেই বাড়িতে গানবাজনা ও যাত্রার পরিবেশ দেখে আসছেন তিনি।আর সেই থেকেই তাঁর নেশা হয়ে ওঠে অভিনয় চর্চা। একসময় বহু যাত্রাতে অভিনয় করেছেন তিনি। দুর্গা পুজো কালী পুজোর পর বিভিন্ন স্থানে যাত্রার আসর বসতো। যাত্রাই ছিল তখনকার বিনোদন বা সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম প্রধান মাধ্যম। আর সেই অভিনয় করবার নেশা আজও ছাড়তে পারেননি তিনি। সম্প্রতি দিল্লিতে সারা ভারত মোবাইল শর্ট ফিল্ম প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হলে শিলিগুড়ি থেকে শিলিগুড়ি এনসেম্বল দ্য কাপ নামে একটা মোবাইল শর্ট ফিল্ম তৈরি করে পাঠায়। সেই শর্ট ফিল্মেও অভিনয় করেন সন্তোষ দাস। আর সেই ফিল্ম তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে। এই স্বীকৃতিতেও খুশি তিনি। আবার প্রখ্যাত ফিল্ম তারকা রজনীকান্ত দার্জিলিং পাহাড়ে সিনেমার শ্যুটিংয়ে এলে সেই সিনেমাতে কারা মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিবের ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি। অন্যদিকে ব্যোমকেশ পর্বেও তিনি অভিনয় করেছেন। প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক অরিন্দম শীলও তাঁর অভিনয় প্রতিভা সম্পর্কে জানেন। এখন বলাকা নাট্য গোষ্ঠীতে নিয়মিত অভিনয় চর্চার অনুশীলন করেন সন্তোষবাবু। তিনি চান নতুন প্রজন্ম বেশি বেশি করে অভিনয় বা নাট্য চর্চায় এগিয়ে আসুক। সবাই একটু সময় করে হলেও নাটক দেখুন। সবাই একটু নাট্য চর্চার প্রতি আগ্রহী না হলে একদিন যাত্রার মতোই হারিয়ে যাবে নাটক।