অবশেষে মাটিগাড়া থেকে চার ও ছয় লেনের রাস্তা

নিজস্ব প্রতিবেদনঃঅবশেষে মাটিগাড়া থেকে শালুগাড়া সেনা ছাউনির জাতীয় সড়ক পর্যন্ত চার ও ছয় লেনের বিরাট রাস্তা হতে চলেছে। দার্জিলিং মোড়ের যানজট থেকেও মুক্তি পেতে চলেছেন শিলিগুড়িবাসী।মাটিগাড়া থেকে শালুগাড়া আর্মি ক্যাম্প পর্যন্ত চার ও ছয় লেনের রাস্তার জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে বলে টুইট করেছেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি।দার্জিলিং মোড়ে যানজট সমস্যা মেটানোর জন্য নতুন সড়ক নির্মাণের বরাদ্দও দিল কেন্দ্রীয় সরকার। মাটিগাড়ার বালাসন সেতু থেকে শুরু করে দার্জিলিং মোড়,চম্পাসারি,চেকপোস্ট হয়ে শালুগাড়ার সেনা ছাউনি পর্যন্ত ১০নম্বর জাতীয় সড়ক (পূর্বতন ৩১ নম্বর) সম্প্রসারণের সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক।এই খাতে বরাদ্দ হয়েছে ৯৯৫ কোটি টাকা।শনিবার কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি টুইট করে সেকথা জানিয়েছেন।রাস্তাটি কোথাও চার লেন,আবার কোথাও ছয় লেনের তৈরি হবে।দার্জিলিং মোড়ে সম্ভবত ছয় লেনের রাস্তার ব্যবস্থা থাকবে।দ্রুত কাজ শুরু হবে বলে আশাবাদী কেন্দ্র।দার্জিলিং মোড়ে যানজট সমস্যা নতুন কিছু নয়।দীর্ঘদিন ধরেই উত্তরপূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার শিলিগুড়ি শহরে যাতায়াতের ক্ষেত্রে দার্জিলিং মোড়ের যানজট সমস্যায় নিত্যদিন ভুগতে হয় সাধারণ মানুষকে।মাটিগাড়ার খাপরাইল মোড় থেকে শুরু করে চম্পাসারি মোড় পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট হয়,শুধুমাত্র দার্জিলিং মোড়ের সরু রাস্তার জন্য।তাই মাটিগাড়ার যেখানে চার লেনের এশিয়ান হাইওয়ে শেষ হয়েছে সেখান থেকে শুরু করে খাপরাইল মোড়,দার্জিলিং মোড়, চম্পাসারি মোড়,চেকপোস্ট মোড় হয়ে ভক্তিনগর থানার সামনে দিয়ে রাস্তাটি চার অথবা ছয় লেনের তৈরি করার দাবি উঠেছিল।এই রাস্তার দাবিতে বহু আন্দোলনও হয়েছে।অবশেষে কেন্দ্র এই ছাড়পত্র দেওয়ায় আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যেই নতুন রাস্তা নির্মাণ হয়ে গেলে সমস্যা দূর হবে বলে আশাবাদী সকলেই।কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে শহরেও খুশির হাওয়া।শিলিগুড়ির বিধায়ক ডঃ শংকর ঘোষ সড়ক পরিবহণ মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।তিনি বলেন,‘এর ফলে শুধু শিলিগুড়িই নয়, সমগ্র উত্তরবঙ্গ এবং উত্তরপূর্ব ভারতের মানুষ উপকৃত হবেন।শিলিগুড়ির মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন ইউপিএ সরকার থাকার সময় থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি লিখেছেন রাস্তা সম্পসারনের জন্য।বিজেপি সরকার আসার পর প্রধান মন্ত্রী ও নিতিন গড়কড়িকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এই রাস্তা হওয়ার ফলে মানুষের অনেক সুবিধা হবে।