বঙ্কিমচন্দ্রের সাগরসঙ্গমে নবকুমার নয়, বাস্তবের অন্যরকম নবকুমারের কথা শুনুন

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সাগরসঙ্গমে নবকুমার আপনারা অনেকেই হয়তো পড়েছেন আর অবাক হয়েছেন নবকুমার চরিত্র সম্পর্কে জেনে। কিন্তু আজ গল্পে নয়,বাস্তবের অন্যরকম এক নবকুমারের কথা শুনুন। উঁচু সীমান্তে যখন বরফ পড়ে,তখন তিনি আর দশজন সহযোদ্ধার সঙ্গে কাজ করেন। জঙ্গিদের নিশানা যখন গোটা জম্মু ও কাশ্মীর তখনও তিনি ভয় না পেয়েই কাজ করেন আর দশজন সহযোদ্ধার সঙ্গে। আসলে ছেলেবেলায় যখন বল নিয়ে মাঠে ছুটতেন, এদিক ওদিক থেকে তাঁর স্বীকৃতি জুটতো ভালো ফুটবল খেলার জন্য তখন থেকেই ভাবতেন, বড় হয়ে দেশের জন্য খেলবেন।
খেলছেন তিনি। তবে এখন অন্যরকম খেলা। ওর কথায়,দেশের ফুটবল টীমে যোগ দিয়ে আজ খেলতে না পারলেও খেলতে হচ্ছে দেশের জন্যই, এক অন্যরকম খেলা।
শিলিগুড়ি সংহতি মোড়ের পূর্ব বিবেকানন্দ পল্লীতে বাড়ি ৩৭ বছরের তরুন নবকুমার বসাকের। বিগত ২০১৮ সাল থেকেতো তাঁর সময় কাটছে জম্মু কাশ্মীরে। শ্রীনগরের চক সেক্টরে বি এস এফ কাশ্মীর ফুটবল টিমের তিনি একজন প্রশিক্ষক।বি এস এফের স্পোর্টস ফিজিওর দায়িত্বও তিনি সামলান।সেখানে বি এস এফ পরিচালিত জিমের দায়িত্বেও রয়েছেন তিনি।বি এস এফের অনেক আধিকারিক তাঁর তত্বাবধানেই শরীর চর্চা করেন সেখানে। বি এস এফের শরীর চর্চা, ফুটবল খেলার অনুশীলন চালিয়ে কিন্তু নজির সৃষ্টি করেছেন বাংলার এই তরুন নবকুমার বসাক।
আসলে ভালো ফুটবল খেলার জন্যই তাঁর চাকরি বি এস এফে।২০০৬ সালে খেলাধূলার কোঠায় তিনি বি এস এফে চাকরি পান। পুলওয়ামা এবং লালচক থেকে ৬ কিলোমিটারের মধ্যে তাঁর বর্তমান কর্মস্থল। স্কুল জীবন কেটেছে শিলিগুড়ি নীলনলিনী হাইস্কুলে।বাংলার অনুর্ধ ১৭ স্কুল দলে তিনি খেলার সুযোগ পেয়েছেন, সুব্রত কাপেও খেলেছেন।
তবে শুধু খেলাধূলাই নয়, মানুষ হিসাবেও নবকুমার বিশেষ গুনের অধিকারী।২০১৯ সালে শিলিগুড়ি এন্ড স্মাইলিং ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গঠন করেছেন নিজের উদ্যোগে। বিগত করোনার দিনগুলোতে জম্মুতে থাকলেও জম্মু থেকেই কাজের ফাঁকে শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে অসহায় গরিব মানুষের পাশে ত্রান সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন এন্ড স্মাইলিং ওয়েলফেয়ার সোসাইটির মাধ্যমে।নিজের বেতনের কিছু অংশ দিয়ে তিনি প্রতিমাসে কিছু না কিছু সামাজিক কাজ করেন এনজিওর মাধ্যমে। ভবিষ্যতে নবকুমার একটি বিরাট বৃদ্ধাশ্রম তৈরি করতে চান উত্তরবঙ্গে।