টানা গৃহবন্দি থাকলে ঘনঘন হাত ধোয়ার প্রয়োজন নেই, পরামর্শ মনোচিকিৎসকের

বাপি ঘোষ ঃ বিশ্বজুড়ে চলছে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ দাপট। ভারতবর্ষে শুরু হয়েছে লকডাউন। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য চিকিৎসকরা বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন। এর মধ্যে একটি হল, কিছুক্ষণ পরপর সাবান দিয়ে হাত না দিয়ে নাকে মুখে চোখে হাত না দেওয়া। কিন্তু এই অবস্থায় উত্তরবঙ্গের বিশিষ্ট মনোচিকিৎসক ডাক্তার নির্মল বেরা পরামর্শ দিচ্ছেন, গৃহবন্দী থাকলে অতো ঘনঘন বারবার হাত ধোয়ার প্রয়োজন নেই। তবে কেউ বাড়ির বাইরে গিয়ে ঘরে ফিরলে ঘনঘন বারবার হাত ধুতে হবে সাবান দিয়ে। ডাঃ নির্মল বেরা এই সময় আরও কি কি করা প্রয়োজন তা বলেছেন খবরের ঘন্টার কাছে।

উত্তরবঙ্গের এই বিশিষ্ট মনো চিকিৎসক ডাক্তার নির্মল বেরা আরও যেসব কথা বলেছেন, চলুন পড়ে নিই,__’ এখন বাড়ি থেকে বের হওয়া যাবে না। সরকারি নির্দেশিকা রয়েছে, যেহেতু লকডাউন চলছে। কিন্তু বাড়িতে থাকলে অনেকে বোর ফিল করেন। সময় কাটানো মুশকিল হয়ে যায়। তাই সকাল-সন্ধ্যায় বাড়িতে অন্তত দশ মিনিট করে আসন বা ব্যায়াম করুন। মেডিটেশন করতে পারেন। সকাল সন্ধ্যা দুবেলাই করুন। তাছাড়া মন ভালো রাখতে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ফোনে কথা বলুন। কম বয়সী মাঝবয়সী সবাই মিলে একসঙ্গে বসে মুভি দেখতে পারেন। গান শুনতে পারেন, গান শুনলে মন ভাল হয়। আর খাবার সহজপাচ্য খান যেমন ফল ইত্যাদি। মাছ-মাংস কম খাওয়া ভালো। মূল হচ্ছে সকাল-বিকাল নিয়ম মেনে যোগব্যায়াম করা। যদি কারও বই পড়ার অভ্যাস থাকে তাহলে এইসময় আরো বেশি করে বই পড়ুন। পুরনো বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখতে পারেন। কেননা অনেক সময় আমরা ব্যস্ততার দরুন সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারিনা। আর সৃজনমূলক বা ক্রিয়েটিভ ভালো কাজের মাধ্যমে মনের স্ট্রেস কমে। মনের মধ্যে থাকা উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তা দূর হয়। কেউ যদি রান্নাবান্না পছন্দ করেন তাহলে এই সময় মন দিয়ে রান্না-বান্না করতে পারেন। করোনাভাইরাস নিয়ে অহেতুক সব খবর না দেখাই ভাল, এটি অনেক সময় মনের চাপ বাড়িয়ে দেয়। বাড়িতে বসে পুরনো অ্যালবামের ছবি দেখতে পারেন। আরেকটি কথা, বাড়ির বাইরে বেরোলে ঘরে ফেরার পর কিছুক্ষণ পরপর অবশ্যই সাবান হাত ধোবেন। হাত স্যানিটাইজ করে নেবেন। সাবান দিয়ে হাত না দিয়ে নাকে মুখে চোখে হাত দেবেন না। তবে যদি টানা কেউ ঘর থেকে একদম না বের হন, ঘর থেকে কেউই বের হননি তবে বারবার হাত ধোয়ার প্রয়োজন নেই।’