নিজস্ব প্রতিবেদনঃ শিলিগুড়ি কলেজপাড়ার চিকিৎসক দম্পতি রবিবার ডুয়ার্সের বিশিষ্ট সমাজসেবী সাজু তালুকদারের সঙ্গে যোগ স্থাপন করে সামাজিক দায়বদ্ধতার নজির তৈরি করলেন। এর বাইরে শিলিগুড়ির আরও কিছু মানুষ এদিন সাজুবাবুকে অর্থ ও বস্ত্র তুলে দিয়ে নজির তৈরি করেন।
শিলিগুড়ি কলেজপাড়ার ফ্ল্যাটে বসবাস করেন রেডিওলজিস্ট ডাঃ মুক্তি সরকার। তার স্বামী ডাঃ উদয়ন সরকার স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ। রোগী দেখে অর্থ উপার্জন করলেও এই চিকিৎসক দম্পতি সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা মাথায় নিয়ে কিছু কাজ করতে চান। তাদের মধ্যেও রয়েছে মানবিকতাবোধ। অনেকদিন ধরে তারা বীরপাড়ার বস্ত্র ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা সাজু তালুকদারের কাজকর্ম অনুসরণ করছিলেন সোস্যাল মিডিয়াতে। যখন তারা নিশ্চিত হলেন যে সাজুবাবু অসহায় গরিব মানুষদের জন্য নিজেকে নিঃস্বার্থভাবে বিলিয়ে দিচ্ছেন তখন তারা মনস্থির করেন যে এইরকম লোকের পাশে দাঁড়াতে হবে। আর সেই ভাবনারই প্রথম ধাপ হিসাবে রবিবার তারা সাজুবাবুর হেভেন শেল্টার হোমের জন্য নগদ পাঁচ হাজার টাকা তুলে দেন। তার পাশাপাশি কিছু জামাকাপড়ও তুলে দিয়েছেন সাজুবাবুর বস্ত্র ব্যাঙ্কের জন্য। আগামীদিনে তারা সাজুবাবুর হেভেন শেল্টার হোমের আবাসিকদের জন্য ওষুধ প্রদান করতে চান। তার পাশাপাশি বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবাও দিতে চান। যন্ত্র সঙ্গীত শিল্পী সুপ্রিয় ব্যানার্জীর মাধ্যমে খবর পেয়ে খবরের ঘন্টা রবিবার সাজুবাবুকে ওই চিকিৎসক দম্পতির কাছে পৌঁছে দিয়েছে। চিকিৎসক দম্পতির এইরকম সামাজিক কাজের তারিফ করেন সাজুবাবু। এদিন খবরের ঘন্টার মাধ্যমে শিল্পী পালিত ও তার স্বামী কাঞ্চন পালিত নগদ ১০০০ টাকা, শেঠ শ্রীলাল মার্কেটের ব্যবসায়ী শিল্পী সাহা ও তার স্বামী রাজু সাহা নগদ ২০০০ টাকা এবং কামেলি কুন্ডু ২০০ টাকা সাজুবাবুর হাতে তুলে দেন।সঙ্গীত শিল্পী শিল্পী পালিত তার বান্ধবী শিল্পী সাহার কাছে সাজুবাবুর পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানালে শিল্পীদেবী এদিন নগদ ২ হাজার টাকা ছাড়াও প্রচুর জামাকাপড় তুলে দিয়েছেন।শিল্পী পালিত ও তার স্বামী এর আগেও সাজুবাবুর পাশে দাড়িয়েছেন। লোয়ার ভানুনগরের শুভজিৎ সাহা ও সাথি রায়সাহা, বাবুপাড়ার কমলেন্দু ব্যানার্জী, অঞ্জনা মজুমদার, প্রধাননগরের নীলাঞ্জনা সাহা, সংবাদ কর্মী সুস্মিতা সাহাবিশ্বাস সাজুবাবুর হাতে বস্ত্র তুলে দেন। লেক টাউনের সুব্রত সেন জামাকাপড় ছাড়া ২৫ কেজি চাল তুলে দিয়েছেন সাজুবাবুর হাতে। সাজুবাবু বলেন, সামনে পুজো। এইসব অসহায় মানুষ ও বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের হাসি ফোটানোটাই প্রকৃত পুজো।