ইতিবাচক ভাবনা ছড়িয়ে দিতে বেলুড় মঠের একঝাঁক স্বামীজি শিলিগুড়ি আসছেন

নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলিগুড়িঃ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ, মা সারদা, স্বামী বিবেকানন্দ এবং ভগিনী নিবেদিতার ভাবকে সামনে রেখে ইতিবাচক ভাবনা ছড়িয়ে দিতে এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই একগুচ্ছ কর্মসূচি শুরু হতে চলেছে শিলিগুড়িতে। এই কর্মসূচি চলবে মে মাসেও।আর এর জন্য বেলুড় মঠ রামকৃষ্ণ মিশন থেকে বেশ কয়েকজন স্বামীজি মহারাজ শিলিগুড়ি আসছেন। এই কর্মসূচির প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ৬ এপ্রিল শিলিগুড়ি দুই মাইল জ্যোতি নগর শ্রী রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সোসাইটির আশ্রমে আসছেন রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠ বেলুড় মঠের সম্পাদক স্বামী দিব্যানন্দ মহারাজ। তিনি ৬ তারিখ শিলিগুড়ি এসে দুপুরে শিলিগুড়ি বিশেষ সংশোধনাগারে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
শিলিগুড়ি শ্রীরামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সোসাইটির অন্যতম কর্মকর্তা শ্যামল সরকার এবং কমল মজুমদার জানিয়েছেন, ৬ তারিখ বিকালে সোসাইটির আশ্রমের এক ভক্ত সম্মেলন হবে। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ইতিবাচক ভাবনা নিয়ে বক্তব্য রাখবেন স্বামী দিব্যানন্দ মহারাজ। অনুষ্ঠানে রামকৃষ্ণ মিশন নিবেদিতা শিক্ষা ও সংস্কৃতি কেন্দ্র,রায়ভিলা,দার্জিলিঙের পক্ষ থেকে স্বামী নিত্যানন্দ মহারাজ যোগ দেবেন। ৭ এপ্রিল তাদের অনুষ্ঠান রয়েছে সাহুডাঙির শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রমে। সেখানে ঠাকুর, মা ও স্বামী বিবেকানন্দের ওপর আলোচনা সভা হবে। এরপর ১৯,২০ ও ২১ এবং ২৮ এপ্রিল শিলিগুড়ি সেবক রোড এর মাড়োয়ারি পঞ্চায়েত প্যালেসে দীক্ষা প্রদান অনুষ্ঠান রয়েছে। সেখানে বেলুড় মঠের রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সহ-সভাপতি স্বামী সুহিতানন্দজী মহারাজ দীক্ষা প্রদান করবেন। ৫ মে রয়েছে ভক্ত সম্মেলন। ৪ মে বয়স্কদের নিয়ে রয়েছে আলোচনা সভা। ভক্ত সন্মেলনে ৫ মে সহ-সভাপতি স্বামী সুহিতানন্দ মহারাজ ছাড়াও একঝাঁক স্বামীজি মহারাজ আসছেন। স্বামী দেবরাজানন্দজী মহারাজ,স্বামী দিব্যানন্দ মহারাজ, স্বামী সুবীরানন্দজী মহারাজ, স্বামী বোধাসারদানন্দজী মহারাজ ছাড়াও আরও অনেক স্বামীজি আসছেন বেলুড় মঠ রামকৃষ্ণ মিশন থেকে। উত্তরবঙ্গে বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন থেকে একসঙ্গে ১৭/১৮ জন মহারাজ আসার ঘটনা এই প্রথম। জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম,শিলিগুড়ি শ্রীরামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সোসাইটি,সাহুডাঙি রামকৃষ্ণ আশ্রম, শিলিগুড়ি প্রধাননগরের রামকৃষ্ণ বেদান্ত আশ্রম যৌথভাবে এই ভক্ত সম্মেলনের আয়োজন করছে। উত্তরবঙ্গ সহ উত্তরপূর্ব ভারতে শ্রীরামকৃষ্ণ বিবেকানন্দের ইতিবাচক ভাবনা ছড়িয়ে দিতে এই প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। রামকৃষ্ণ অনুরাগীরা জানিয়েছেন, সমাজে বিভিন্নভাবে হিংসা ও অবসাদ বাড়ছে। এই সময় থেকে উত্তরনের বড় পথ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দ, সারদা মা ও ভগিনী নিবেদিতার দেখানো আলোর রাস্তা। জাতিধর্ম নির্বিশেষে বিভিন্ন মানুষ এতে যোগ দেবেন বলে রামকৃষ্ণ অনুরাগী শ্যামল সরকার জানিয়েছেন। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, স্বামী বিবেকাননন্দের ইতিবাচক ভাবকে সামনে রেখে শিলিগুড়ির পাশে একটি বিরাট মিউজিয়াম তৈরি হতে চলেছে। সেখানে ঠাকুর,মা ও স্বামীজির বিভিন্ন ভাব ও সেবার নানান দিক প্রদর্শিত হবে।