দোয়াতের কালি আর কলমের নিব দিয়ে অন্যরকম শিল্পের নেশায় রঞ্জিত

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃঃ দোয়াতের কালিতে কলমের নিব ডুবিয়ে অন্যরকম ছবি আঁকার নেশায় সবসময় মেতে থাকছেন উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটার চিত্র শিল্পী রঞ্জিত সরকার। প্যাস্টেল, চারকোল,ওয়াটার কালার সহ আরও অনেক রকম পদ্ধতিতে তিনি ছবি আঁকেন বটে। কিন্তু হারিয়ে যাওয়া কালির দোয়াতে কলমের নিব ডুবিয়ে তিনি অন্যরকম ছবি একে মানুষের মনে দাগ কাটছেন।

ফালাকাটার বাবুপাড়ায় বাড়ি রঞ্জিত সরকারের। তার স্ত্রী কল্পনা সরকার একজন বাচিক শিল্পী। ছোট থেকেই রঞ্জিতের নেশা ছবি আঁকার প্রতি। তবে কলেজ জীবন শেষ করে তার ছবি আঁকার নেশা আরও অন্যমাত্রা পেতে শুরু করে চিত্র শিল্পী বিভাস রায়ের সংস্পর্শে এসে। বিভাসবাবুর কাছে আরও বেশি বেশি করে তার ছবি আঁকার তালিম নেওয়া। তারপর ছবি আঁকার ওপর আরও পড়াশোনা এবং হাতেকলমে নিজেকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলেন তিনি। ধীরে ধীরে তার আকা ছবির কদরও তৈরি হয় চিত্র শিল্পী মহলে। তবে অবশ্যই তার বিশেষ বিশেষত্ব হল, কালির দোয়াতে কলমের নিব ডুবিয়ে সেই কলম দিয়ে ছবি আঁকা। এখন ফালাকাটাতে নিজস্ব ছবি আঁকার স্কুলও খুলেছেন রঞ্জিত। তাতে ৩৫০ জন নিয়মিত শিক্ষার্থীও রয়েছে। রঞ্জিত বলেন, অনেক প্রতিভাবান শিল্পী হারিয়ে যায়। তাদেরকে তিনি ঠিকমতো ছবি আঁকা শিখিয়ে আরও এগিয়ে দিতে চান।
কলকাতার নন্দন থেকে শুরু করে বিড়লা একাডেমি এবং অন্যত্র এই চিত্র শিল্পীর আকা ছবি প্রদর্শিত হয়েছে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন শহরে গিয়ে তিনি ছবি এঁকেছেন। অনেক স্থানে তাঁর আকা ছবি বিক্রিও হয়েছে। কমপক্ষে দুহাজার আর সব চেয়ে বেশি আট হাজার টাকা মূল্যেে তার ছবি বিক্রি হয়েছে। তার স্ত্রী বাচিক শিল্পী কল্পনা সরকার তাকে সবসময় ছবি আঁকার প্রতি উৎসাহ দেন। চলতি জুন মাসেই কলকাতার একাডেমি অফ ফাইন আর্টসে তার ছবি আঁকার প্রদর্শনী রয়েছে। কিন্তু কেন এত ছবি আঁকা, প্রশ্ন করলে রঞ্জিত বলেন, ভালো লাগে,তাই আকি। আর এতো সৃজনশীল কাজ। ছোট ছেলেমেয়েরাও এসব সৃজনমূলক ইতিবাচক কাজ নিয়ে যত সময় দেবে ততই তারা ভালো থাকবে।