ডাঃ জি বি দাস( বিশিষ্ট স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ) ঃঃ আবার চলে এলো দীপাবলি। সকলকে শুভেচ্ছা জানাই। কালী পুজো বা দীপাবলির এই সময়টায় অনেকে রীতি মানতে গিয়ে শব্দ বাজি ফাটান। কিন্তু বিকট শব্দে সব বাজি ফাটে। এবারে এই বাজি ফাটানো ও গর্ভস্থ শিশুর অবস্থা নিয়ে দুএকটি কথা বলবো। মায়ের গর্ভে সাত মাস বয়স হলেই কিন্তু শিশু সব শুনতে পায়। আমরা মা এর গর্ভে শিশু ঠিক আছে কিনা তা বোঝার জন্য একরকম পরীক্ষা করি। ভাইব্রো অ্যাকিউস্টিক সাউন্ড টেস্টের মাধ্যমে ঘুমন্ত শিশু কি অবস্থায় আছে তা বুঝতে একটা ছোট মেশিনের সাহায্য নিই। ৬০ ডেসিবেলের নীচে শব্দ হয় সেই মেশিনে। আর সেই শব্দেই শিশু চমকে ওঠে। আমার বক্তব্য হল, ৬০ ডেসিবেলের নীচে থাকা শব্দতেই যদি শিশু চমকে ওঠে তবে বাজারের অন্যান্য বিকট শব্দের সামনে মা এর পেটে থাকা শিশুর কি অবস্থা হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। আর আতস বাজির ধোঁয়াও যে মা ও গর্ভস্থ শিশুর ভয়ানক ক্ষতি করতে পারে তা এককথাতেই বলে দেওয়া যায়। এ বিষয়ে আর একটি কথা বলবো, মা এর গর্ভাবস্থায় মা- কে সুমিষ্ট বা মধুর সঙ্গীত শোনানো যেতে পারে। যেমন রবীন্দ্র সঙ্গীত। এধরনের সঙ্গীত গর্ভ থেকেই শিশু শুনতে পেলে তার স্নায়ু তন্ত্র অন্যভাবে তৈরি হয়। এরজন্য বোধহয় আগের দিনে অভিভাবকরা মায়েদের গর্ভাবস্থায় গীতা পাঠ শোনা বা সুমধুর কথাবার্তা শোনার ওপর জোর দিতেন। উত্তেজক শব্দ বা উত্তেজক সঙ্গীত গর্ভস্থ অবস্থায় মা শুনলে কিন্তু শিশুর স্নায়ুর ওপর প্রভাব ফেলে তা বলেই দেওয়া যায়।