শিলিগুড়িতে সামাজিক কাজে পুলিশ,বিনামূল্যের স্বাস্থ্য শিবির থেকে মানবিক ভূমিকায় শিশু চিকিৎসক

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া চা বাগানের বস্তি এলাকায় বহু শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। একদিকে বাগানের চা শ্রমিকদের দারিদ্র, অন্যদিকে স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব –এই দুইয়ের জেরে বহু শিশুর সঠিক পরিচর্যা হচ্ছে না। ফলে অনেক শিশু চর্মরোগ স্ক্যাবিসে আক্রান্ত হচ্ছে। রবিবার শিলিগুড়ি চম্পাসারি শ্রীগুরু বিদ্যামন্দিরে পুলিশের এক স্বাস্থ্য শিবিরে সে তথ্য ধরা পড়েছে। বিশিষ্ট শিশু চিকিৎসক ডাক্তার সুবল দত্ত ওই সব শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাদের অভিভাবকদের মধ্যে স্বাস্থ্যসচেতনতার প্রচার চালান। একই সঙ্গে থেকে এই রোগ থেকে বাঁচতে তিনি প্রত্যেককে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দেন। এদিন সকাল থেকে শিলিগুড়ি চম্পাসারির শ্রীগুরু বিদ্যামন্দিরে পুলিশ কমিশনারেটের প্রধাননগর থানার উদ্যোগে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির শুরু হয়। তাতে মূল ভূমিকায় ছিলেন প্রধাননগর থানার আইসি পঙ্কজ থাপা। পুলিশ যে শুধু চোর ডাকাত ধরে না, সামাজিক কাজও করে সেটা এদিন প্রমাণ করেন পুলিশকর্মীরা। শিবিরে ডাক্তার সিপি শর্মা, ডাক্তার তাপস দাস, ডাক্তার সুবল দত্ত সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সমাজসেবী সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় এবং প্রানতোষ সাহা সেই শিবির পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করেন। সোমনাথবাবু পুলিশের এই সামাজিক ও মানবিক কাজের প্রশংসা করেন। শিবিরে চা বাগান ও তার আশপাশের বহু শিশুর অভিভাবক উপস্থিত হয়। সেখানে ধরা পড়ে চা বাগান ও তার আশপাশের বস্তি এলাকায় বহু শিশুর ত্বকের রোগ স্ক্যাবিস রয়েছে। স্ক্যাবিস এর চিকিৎসা না হলে কিডনি সমস্যা হতে পারে। এদিন ডাক্তার সুবল দত্ত শিশুর অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা প্রচার করেন। সেইসময় অনামিকা মুন্ডা নামে 12 বছরের এক বালিকার মাথায় বিরাট আকারের ফোড়া হওয়ার বিষয়টিও নজরে আসে ডাক্তার দত্তের।ওই বালিকার মা চন্দা মুন্ডা গুলমা চা বাগানের শ্রমিক।বহুদিন ধরে বালিকার মাথায় ফোড়া বড় হচ্ছে।অনেকেই টিউমার হয়েছে বলে সন্দেহ করেন।টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছিল না।এদিন ডাক্তার সুবল দত্ত তা জানতে পেরে বিনামূল্যে ওই চা বালিকার ফোড়া অপারেশন করে দেবেন বলে আশ্বাস দেন।প্রধাননগর থানাও এ বিষয়ে সহযোগিতা করছে।সমাজসেবী সোমনাথবাবু বলেন,তারা ডাক্তার সুবল দত্তের এই মানবিক কাজে পাশে আছেন। বহু দিন ধরে টাকা না থাকায় ওই চা বালিকার চিকিৎসা হচ্ছিল না।