সঙ্গীতের মাধ্যমে অনন্তকে বোঝার চেষ্টায় নিয়োজিত রাখতে চান ঈশিতা

শিল্পী পালিত ঃ আজ আত্ম কথা বিভাগে ঈশিতা চক্রবর্তীর কথা মেলে ধরা হচ্ছে। শিলিগুড়ি হাকিমপাড়ায় বাড়ি ঈশিতার।

আমি ঈশিতা চক্রবর্তী। বাবা নিশীথ কুমার চক্রবর্তী ও মা মমি চক্রবর্তী। ছোটবেলায় দেখতাম ঠাকুরদাদা ও দিদিরা
গান গাইত। ওদের সাথে আমিও গাইতাম। ফলে পাঁচ বছর বয়সে বর্ণালী বসু কর্মকারের কাছেই আমার গানের প্রথম পাঠ। সে বয়সে আমার নাচের প্রতি ঝোঁক বেশি ছিল গানের চাইতে। কিন্তু বড় হওয়ার সাথে সাথে গানের প্রতি বেশী আকর্ষিত হই। ফলে ঘুঙরু খুলে রেখে গানের জগতে পুরোপুরিভাবে মনোনিবেশ করে নিজেকে নিয়োজিত রাখার চেষ্টা শুরু করি। শুভ্রা চৌধুরীর কাছে তালিম নিয়েছি। মাধ্যমিকের সময় গানের বিরতি দিয়েছিলাম। পড়াশোনার চাপে অনেকদিনই গান বন্ধ ছিল। বাবা মা এর ইচ্ছে তে আবার গান শুরু করি সুধীর বাগচী র কাছে। তারপর পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর গানের স্কুল ‘শ্রুতি নন্দনের’ শিক্ষক শ্রী কৌশিক গোস্বামীর কাছে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের চর্চা শুরু করি। এখনও শিখছি। এখন আমি এম এ , বি এড করেছি। সংগীতেও এম মিউজ করেছি। এখন আমি আকাশবাণীর বেতার শিল্পী।
এছাড়াও কিছু সংগঠনের সাথে যুক্ত আছি। বাড়িতে গান শেখাই। আমার ছাত্রীরা যখন পুরস্কার নিয়ে আসে তখন আমার গানের শিক্ষার সার্থকতা একটু হলেও খুঁজে পাই। সারাজীবনই গান শেখার ইচ্ছে আছে। বিশেষত শাস্ত্রীয় সংগীত। জীবনকে শাস্ত্রীয় সংগীতের মাধ্যমে কিভাবে উপলব্ধি করা যায় তা জেনেছি আমি বেনারস রামকৃষ্ণ আশ্রমাধ্যক্ষ স্বামী কৃপাকরানন্দ মহারাজের ২০১৯ এর এক কর্মশালার মাধ্যমে। তিনিই আমায় দেখিয়েদিলেন সংগীতের মাধ্যমে জীবনের দৃষ্টিকোণকে দেখার , উপলব্ধি করার । যা আমার সংগীত জীবনের এক অন্যতম ও অনন্য পাওনা। তাই আগামী দিনে সংগীতের মধ্য দিয়ে অনন্তকে বোঝার চেষ্টায় নিজেকে নিয়োজিত রাখব।
৷ ঠিকানা — হাকিমপাড়া, অতুল প্রসাদ সরনী, নিগম পল্লী, শিলিগুড়ি।