গলায় ২০০ গ্রাম টিউমার, চিকিৎসকের চেষ্টায় বাঁচলেন রোগিণী

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ চিকিৎসা মানেই সব শেষ হয়ে গিয়েছে, তা কিন্তু ঠিক নয়। চিকিৎসকের কাছে যাওয়া মানে রোগীর টাকা খরচ আর জীবন আরও সঙ্কটজনক হয়ে ওঠা তা কিন্তু ঠিক নয়। চিকিৎসা নিয়ে বিভিন্নরকম নেতিবাচক প্রচারের মধ্যেও কিন্তু ইতিবাচক বহু ঘটনা ঘটছে। যেমন আলিপুরদুয়ার জেলার শামুকতলার মহিলা শুক্লা সরকার। ই এন টি, মস্তিষ্ক ও গলার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ সঞ্জীব মহান্তির কাছে গিয়ে তিনি নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছেন।

শামুকতলার বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়স্কা মহিলা শুক্লাদেবী বেশ কিছু দিন ধরে তার গলা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন। তার গলার মধ্যে নিজের অজান্তেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল একটি টিউমার। আর দিনকে দিন সেই টিউমার বড় হয়ে উঠছিলো।ফলে একদিকে কষ্ট যন্ত্রণা অন্যদিকে জীবন আর কতদিন বাঁচিয়ে রাখতে পারবেন তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন তিনি। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসকদের সঙ্গে তিনি দিনের পর দিন যোগাযোগ করেন। কিন্তু ফল ভালো হয়নি। সব স্থান থেকেই কার্যত নিরাশ হয়েছেন। ওদিকে গলার মধ্যে বিরাট টিউমারের জেরে তার খাওয়াদাওয়াও লাটে উঠেছিল। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানে বহু চিকিৎসার উপায় রয়েছে। বহু ডাক্তার দিনরাত রোগীদের কষ্ট দূর করতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। চেন্নাইয়ের এম জে এম একাডেমিকসের বিশেষজ্ঞ ই এন টি চিকিৎসক শুক্লাদেবীর চিকিৎসায় নজর দেন। সামান্য সময়ের মধ্যে তিনি বিশেষ চিকিৎসা অপারেশনের সাহায্যে শুক্লাদেবীর গলা থেকে ২০০ গ্রাম ওজনের টিউমার বের করেন। এখন শুক্লাদেবী ভালো আছেন। চেন্নাই থেকে আলিপুরদুয়ারে নিজের বাড়ি ঘুরে এসে শিলিগুড়িতে সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন শুক্লাদেবী। ডাক্তার সঞ্জীব মহান্তিও সেই সময় সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন। ডাক্তার সঞ্জীব মহান্তি এখন থেকে প্রতি মাসে শিলিগুড়ি সেবক রোডের চেক পোস্টের কাছে ভেগা মলের বিপরীতে বেদান্ত দ্য হেলথ সিটিতে রোগী দেখবেন বলে জানিয়েছেন বেদান্ত দ্য হেল্থ সিটির অধিকর্তা মুকেশ আগরওয়ালা জানিয়েছেন।