সঙ্গীত দিয়ে সামাজিক সচেতনতার প্রচারে শিল্পী

নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলিগুড়িঃ দিনরাত তার নেশা একটাই,তা হল সঙ্গীত চর্চা। আর বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতার প্রচারে তিনি তার নিজের তৈরি সুরকে ব্যবহার করছেন।আর এভাবে ক্রমশ স্বীকৃতিও পেতে শুরু করেছেন তিনি। রবিবার একটি সাপ্তাহিক সংবাদপত্র থেকে শিলিগুড়ি ইসকন অডিটোরিয়াম হলে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।এর কিছুদিন আগে বাংলা গানের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে সামাজিক সচেতনতার প্রচার করায় বাংলা ও বাংলা ভাষা বাঁচাও কমিটি তাকে সংবর্ধনা দিয়েছে।
শিলিগুড়ি হায়দরপাড়ার শিবরাম পল্লীতে বাড়ি এই সঙ্গীত শিল্পীর।তার নাম শিল্পী পালিত। অনেকেই আবার তাকে বীণাপাণি নামে জানেন।বহু দিন ধরে তিনি সঙ্গীত চর্চা নিয়ে আছেন।রবীন্দ্র সঙ্গীত থেকে নজরুল গীতি,আধুনিক গান,লোক গান সব গানেই তার সুরেলা কন্ঠ শ্রোতাদের মন আকর্ষণ করে। ইদানীং বেশ কিছুদিন ধরে ওই সব গানের পাশাপাশি তিনি নিজস্ব ঢঙে সামাজিক সচেতনতার গানে সুর দিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রচার করছেন। এরমধ্যে কন্যা ভ্রুন হত্যার বিরুদ্ধে যেমন গান আছে তেমনই রক্ত দান,প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের দূষন,বৃক্ষ রোপন, নির্মল বাংলার শৌচালয় নির্মান, ডেঙ্গু সচেতনতা সহ আরও অনেক গান আছে।সেই সব গানের মাধ্যমে সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন এবং তার সঙ্গীত প্রতিভা কিন্তু অনেক মহলেই চর্চার বিযয় হয়ে উঠেছে। তার কথায়, সঙ্গীতের মাধ্যমে সামাজিক সচেতনতার বার্তা দেওয়া আর মুখে মুখে সেই বার্তা দেওয়ার ফারাক অনেক। কোথাও কোনও পয়সা না পেলেও গান ও সমাজকে ভালোবেসেই তিনি নিঃস্বার্থভাবে এই কাজ করে চলেছেন যা শিলিগুড়িতে একটি নজির।তার স্বামী কাঞ্চন পালিতও এই কাজে পুরো সহায়তা করছেন। শুধু তাই নয়,সমাজের অসহায় শিশুদের কথা ভেবে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সিনির হোমে তিনি বিনা পারিশ্রমিকে গান শিখিয়ে ও গান শুনিয়ে শিশুদের ভালো রাখার চেষ্টা করছেন। আাগামীদিনে সঙ্গীতের মাধ্যমে তিনি সমাজের আরও সেবা করবার চেষ্টা করে যাবেন বলে জানিয়েছেন। বাগডোগরার একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কাঞ্চন খুশওয়া তার গান শুনে মুগ্ধ । একটি গ্রামে ডেঙ্গু সচেতনতার গান শিল্পীদেবী পরিবেশন করলে প্রধান তা শুনে বলেন,আমরা আমাদের গ্রামে শিল্পীদেবীর ডেঙ্গু সচেতনতার গান এবং নির্মল বাংলার শৌচালয়ের গান রেকর্ড করে সর্বত্র প্রচার করবো সারা বছর ধরে।