বিশ্ব উষ্ণায়নের ভাবনায় পুজোর থিম শিলিগুড়ি হায়দরপাড়ায়

নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলিগুড়িঃ ৪৯ এর আহ্বান,জল বাঁচিয়ে গাছ লাগান,বাঁচবে ধরা,বাঁচবে প্রান।এই ভাবনাকে সামনে রেখে এবার দেবী আরাধনায় ব্রতী হয়েছে শিলিগুড়ি হায়দরপাড়া স্পোর্টিং ক্লাব। এবার এই পুজো ক্লাব ভবন চত্বরে হচ্ছে না।তাদের পুজো হচ্ছে স্থানীয় নিম্ন বুনিয়াদী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তার কারন,ক্লাব ভবনের সামনে পুজো করলে অতিরিক্ত যানজট হয় রাস্তায়।ফলে শান্তি মতো দর্শনার্থীরা পুজো দেখতে পারেন না। ক্লাবের কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল ওরফে নিমাই জানিয়েছেন, তাদের পুজো মন্ডপে থাকছে সবুজায়নের ছোঁয়া।মন্ডপের সামনে বহু পুরানো একটি বট গাছ রয়েছে। সেই গাছও এই থিমের আওতায় চলে আসছে। গাছের মধ্যে পাখির বাসা, গাছের পিপড়ে,ডালপালা সব নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। চারদিকে প্রচুর গাছ কাটা হয়েছে,আর বাড়ছে বিল্ডিং। তার থেকে গরম বাড়ছে। জল স্তর নেমে যাচ্ছে।একনাগাড়ে বিল্ডিং হতে থাকায় জল অনবরত তোলা হচ্ছে মাটির নীচ থেকে।তাতে ভবিষ্যতেে জল না পাওয়ার উদ্বেগ কিন্তু বাড়ছে। মন্ডপ চত্বরে কৃত্রিম মেঘ দেখানো হবে। দেখানো হবে জলাধার। আর ছোট ছোট বাড়ি। সেসব বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার দৃশ্য ফোটানোর সময় ট্যাপ কলের নীচে অনেক খালি বালতি দেখানো হবে। বালতিতে থাকবে না জল।বোঝানো হবে জল সঙ্কটের কথা। মন্ডপের চারপাশেে থাকবে গাছের চারা। সেসব গাছে পুজোর সময় জল দেওয়া হবে সবার কাছে আবেদন করা হবে গাছ বাঁচানোর জন্য। পুজোর পর তারা এইসব চারা গাছ বিনামুল্যে বিলি করে দেবেন। Save Tree,Save water এটা তাদের বার্তা বলে নির্মলবাবু জানান। তিনি আরও জানান,নতুন প্রজন্মের কাছে তাদের একটাই বার্তা,তা হল সবুজায়ন। পরিবেশ নিয়ে মানুষ এখনই সতর্ক না হলে সামনে বড় বিপদ। চতুর্থীর দিন এপুজো উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী গৌতম দেব। মন্ডপের সামনে কোক আড্ডা বসবে। কোক আড্ডার ওখানে ফটো শ্যুট,সেলফি তোলার বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে। আর পুজোর কদিন সেখানে পানীয় জল পানের ব্যবস্থা করছে সচিত্র গ্রুপ অফ কোম্পানিজ। এ পুজোর থিম মেকার তাপসব পাল আর প্রতিমা তৈরি করছেন সুশান্ত পাল। আলোতে অনুপ বনিক।