সঙ্গীত চর্চাতেই পড়াশোনার মনঃসংযোগ বৃদ্ধি পায়

নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলিগুড়িঃ স্কুলে পড়াশোনার চাপ আছে। স্কুলের ক্লাস,বাড়ি এসে হোম টাস্ক তৈরি করা আবার প্রাইভেট টিউশন। সবসময় একটা চাপ কাজ করে সপ্তম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রী রিনি সেনের। আর এই চাপ তার অনেকটাই কমে যায় যখন সে রবীন্দ্র-নজরুল চর্চায় মেতে ওঠে। রিনি বলে, সঙ্গীত চর্চা করলেই মনটা হালকা হয়ে যায়। সঙ্গীত চর্চার পর পড়তে বসলে পড়ার প্রতি মনঃসংযোগ আরও বৃদ্ধি পায়।
শিলিগুড়ি আশ্রমপাড়ায় বাড়ি রিনির। বাবা নিখিল সেন ব্যবসায়ী এবং ভক্ত মানুষ। রবীন্দ্র আর নজরুল সঙ্গীত চর্চার পাশাপাশি ভজন সঙ্গীতের চর্চাও করে রিনি। ইউটিউব থেকে বিভিন্ন ভজনের সুর দেখে নেয়। তারপর নিজে নিজেই অনুশীলন চালিয়ে নিজেকে সেভাবে তৈরি করে নেয়। তবে রবীন্দ্র সঙ্গীত বা নজরুল গীতির জন্য তাকে সঙ্গীত শিক্ষকের কাছ থেকে নিয়মিত তালিম নিতে হয়। আয় সব সহচরি থেকে শুরু করে আমার মল্লিকা বনে, সখি ভাবনা কাহারে কিংবা খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশুর আনমনে রবীন্দ্র ও নজরুল গীতিগুলো তার তোলা রয়েছে। তার বাইরে আরও অনেক রবীন্দ্র ও নজরুল গীতি তার গলায় তোলা রয়েছে। পড়ার ফাঁকেই সে বসে পড়ে হারমোনিয়াম নিয়ে। ওর কথায়,সঙ্গীত চর্চা করলে একটা বাড়তি শক্তি আসে মনে। ওর বাবা নিখিল সেন জানালেন,সঙ্গীত চর্চার জন্য রিনির কিছু পুরস্কারও আছে।তারাও উৎসাহ দেন এই শিল্পকলাকে।