নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলিগুড়িঃ শিলিগুড়িতে পুজোর আগে এবারে সিটি ট্যুরিজমে যুক্ত হয়েছে ভোরের আলো। গতবছর পর্যন্ত শিলিগুড়ির সিটি ট্যুরিজমে সেভক বাঘপুল এবং বেঙ্গল সাফারির নাম ছিল।এবারে সেই তালিকায় গাজলডোবার ভোরের আলো। পুজোর মুখে পর্যটকরা ভোরের আলো নিয়ে ভ্রমন কর্মীদের কাছে যেমন খোঁজখবর করছেন তেমনই অনেকে সেখানে যাওয়া শুরু করেছেন।
সিকিম ও দার্জিলিং পাহাড়ের কারনে দেশবিদেশের বহু পর্যটক শিলিগুড়ি আসেন। কিন্তু শিলিগুড়িতে একদিন থাকার সময় আশপাশে ঘুরতে চান।এতদিন সেরকম ঘোরার কোনও জায়গা ছিল না।ভ্রমন কর্মীরা ভিন রাজ্যের পর্যটকদের নেপাল সীমান্ত এবং ফাসিদেওয়ার বাংলাদেশ সীমান্তে নিয়ে গিয়ে উল্টো পর্যটকদের প্রশ্নের মুখে পড়তেন,এ কহা লেকে আয়া? ইহাপে বর্ডারমে দেখনেকা কুছ চিজ হ্যায়ই নেহি।একা কুম্ভ সামলে যাচ্ছিল সেভক বাঘপুল! যদিও এসবের অনেক আগে ধূলাবাড়ির নাম ছিল। কিন্তু ধূলাবাড়ি এখন ধূলায় মিশেছে। সময় এবার একটু বদলেছে। গত বছর শিলিগুড়ি সিটি ট্যুরিজমে যুক্ত হয়েছে বেঙ্গল সাফারি। শিলিগুড়ি জয়ন্তি ট্রাভেলস এর কর্ণধার বাপন মন্ডল জানালেন, এবারে সিটি ট্যুরিজমে যুক্ত হয়েছে ভোরের আলো।তবে তারা ফুলবাড়ি সীমান্তকে ওয়াঘা সীমান্তের মতো কিছু করবার দাবি করছেন।আর তা হলে সিটি ট্যুরিজমে ফুলবাড়ি সীমান্তও যুক্ত হয়ে যাবে। অন্যদিকে ফুলবাড়ির নারায়না স্কুলের পিছনে সদ্য শুরু হওয়া সোয়াসতিকা ইকো পার্ক রিসর্টের কর্ণধার সুদেষ্ণা সেন জানাচ্ছেন, তাদের পার্ক হয়ে পর্যটকরা গাজলডোবা যেতে পারেন। অনেক পর্যটক গাজলডোবা যাওয়ার পথে একবার তাদের পার্কে সময় কাটিয়ে যাচ্ছেন।