সুরের পাঠশালা সর্বানী ব্যানার্জীর— গানে গানে গেঁথে বেড়াই প্রানের কান্নাহাসি

শিল্পী পালিত ঃ আজ আমাদের এই ওয়েবনিউজ পোর্টালের আত্মকথা বিভাগে শিলিগুড়ি দেশবন্ধু পাড়া থেকে লিখেছেন সঙ্গীত শিল্পী সর্বানী ব্যানার্জী—
——-
নমস্কার, আমি সর্বানী ব‍্যানার্জি। গান কানে শুনেই বড় হওয়া,যৌথ পরিবারে বেড়ে ওঠা…ঠাকুরদাদা গান গাইতেন নিয়মিত… সেই সুর কানে নিয়েই বড় হয়েছি… খুব ছোট বয়সে নাচ শিখতাম, ঠাকুমার হাত ধরে নাচের স্কুলে যাওয়ার স্মৃতি আজও অমলিন… তারপরে শুরু হল গুরুর কাছে বসে প্রথাগত গান শেখা,সে সময়টায় বাবার কর্মসূত্রে ছিলাম জলপাইগুড়িতে।গুরু ছিলেন সমরেন্দ্র দেব রায়কত… অপার স্নেহ পেয়েছি,প্রায় কোলের কাছে বসে গান শিখেছি।তিনবছর পরে বাবা বদলি হয়ে চলে গেলেন মেদিনীপুর এর ছোট্ট একটি শহর ঝাড়গ্রামে।সেখানে আমার আগের গুরুর গুরুভাই শ্রী নির্মল ঘোষের কাছে শেখা শুরু হলো, তিনিও বড় যত্ন করে শিখিয়েছিলেন,তাঁর অকাল প্র‍য়ানের পরে তাঁরই সুযোগ্য শিষ্য শ্রী শিশির মাহাতোর কাছে শিখতে শুরু করলাম,শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি নজরুলগীতিও শেখা শুরু সে সময় থেকেই,কারণ তিনি ছিলেন শ্রদ্ধেয় মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের ছাত্র… ১৬ বছর বয়সে আকাশবাণী তে সাধারণ বিভাগে( general gr) এ নজরুলগীতি audition এ উত্তীর্ণ হয়ে গান গাওয়া শুরু.. পরবর্তীতে কলকাতায় পড়তে আসার সুবাদে আবার শেখা শ্রীমতী দীপালি নাগ ও পন্ডিত সুকুমার মিত্রের তত্ত্বাবধানে। সে সময় রাজ্য সঙ্গীত একাডেমির স্কলার হওয়ায় অনেক জ্ঞানী গুনী মানুষের সংস্পর্শে আসা… তাঁদের মধ্যে ছিলেন শ্রী অমর পাল,শ্রী চন্ডীদাস মাল,শ্রী অনল চট্টোপাধ্যায়। অকৃপন স্নেহ পেয়েছি এঁদের কাছেও।এখন উত্তরবঙ্গে আছি।আজ নিজের একটি গানের পাঠশালা রয়েছে আমার,নাম দিয়েছি “রক্তকরবী”… ৩ থেকে ৭৩ বছরের শিক্ষার্থী নিয়ে আমার এই বৃহত্তর পরিবার… একেবারেই সুরে ও ভালোবাসায় ভরা এক ভালো বাসা আমার এই পাঠশালা…এখানে সবাই মিলে আমরা “গানে গানে গেঁথে বেড়াই প্রাণের কান্না হাসি”।
Sarbani Banerjee
Sai Sadan
27 Satyen Bose Rd
Deshbandhupara
Siliguri 734004