শিল্পী পালিত ঃ আজকের আত্মকথা বিভাগে মনামী মিত্র সান্যাল লিখেছেন তাঁর কথা–
আমার প্রিয় শিল্পী খবরের ঘন্টার জন্য নিজের সম্পর্কে কিছ লিখতে বলেছিল।ওর অনুরোধেই নিজের সম্পর্কে ছোট্ট করে লিখি।আমি মনামী মিত্র স্যান্নাল। পাহাড়ের রানি দার্জিলিং এর কোলে আমার জন্ম।প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্য সেখানে ছড়িয়ে আছে।প্রকতির ঔদার্যর মতো আমাদের বাড়ির পরিবেশও ছিল উদার ও সুন্দর।মা বাপী ছিলেন অত্যন্ত প্রগতিশীল মুক্তমনা মানুষ। তারাও ছিলেন দার্জিলিং এর মানুষ।পরে মা বাপীর কর্মসূত্রে আমরা শিলিগুড়িতে চলে আসি।শিলিগুড়ি কলেজ এবং উত্তর বঙ্গ ল ‘ কলেজে আমার পড়াশুনো।ছোটবেলা থেকেই আমরা সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলেই বড় হয়েছি।আমার মায়ের গানের গলা খুব সুন্দর ছিল।মামারা ভালো গাইতেন।আমার বোন সুনন্যা মজুমদার সংগীত শিল্পী ও খুব ভালো গান করে।ভাই গান ভালোবাসে।আর আমার বড়মামার ছেলে আমার মামাতো দাদা রূপক দে সরকারতো শিলিগুড়ির সাংস্কৃতিক জগতে খুব পরিচিত নাম।ছোটবেলায় রবীন্দ্র জন্ম জয়ন্তীতে প্রথম মঞ্চে ওঠা।প্রথম নাটক রবি ঠাকুরের লক্ষ্মীর পরীক্ষা।রবীন্দ্র সংগীতের চর্চা ছিল।যদিও ধারাবাহিকভাবে আমি সংগীত চর্চায় ছিলামনা।ছাত্র রাজনীতির সাথে গভীর ভাবে জড়িয়ে পড়ার দরুণ দূরে সরে যাই।তবে রেকর্ড রেডিও ক্যাসেট এবং ফাংশানে গান শোনায় কোন ভাটা পড়েনি।বিয়ের পর কলকাতা চলে যাই।অনেক দিন পর আবার স্থায়ী ভাবে শিলিগুড়ি চলে এসে ভারতীয় গণনাট্য সংঘর সাথে যুক্ত হই। আবার গনসংগীত এবং আবৃত্তি তে মন দিই।রবীন্দ্র সংগীতও গাইতে ভালো লাগে।স্বাগতাদির কাছে আবৃত্তি চর্চা করেছি।সম্প্রতি শিলিগুড়ি নাট্য মেলায় ভারতীয় গণনাট্য সংঘ উত্তর ধ্বনির পক্ষ থেকে অমিতাভ কাঞ্জিলালের নির্দেশনায় গিরিশ কর্নাডের ‘হয়বদন’ নাটকে অংশগ্রহণ করে খুব ভালো লেগেছে। আমরা নানা অনুষ্ঠানে গণসঙ্গীত পরিবেশন করি।আবৃত্তিও করি।আমার চোয়ালে আর্থারাইটিস থাকার দরুণ গান গাইতে খুব কষ্ট হয়।খুব উঁচু স্কেলে গাইতে পারিনা।এটা আমার বেদনা..।আমি নানা সংগঠন ও সংস্থার সাথে জড়িত।তার মধ্যে ক্রীড়া সংগঠনও অন্যতম। রাজনীতি সহ সমাজের সব স্তরে কাজ করতে ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকলেও আমার মাদার সংগঠন ভারতীয় গণনাট্য সংঘ। আমার আর একটা সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘ। আমার সব কাজে আমার স্বামী এবং পুত্রের অকুন্ঠ অকৃপণ সহযোগিতা ও সমর্থন থাকে।আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যেন একটা সুস্থ ,সুন্দর ও প্রগতিশীল সমাজ এবং সাংস্কৃতিক বাতাবরণ দিয়ে যেতে পারি এটাই আমার কাম্য।খবরের ঘন্টার সব কিছু আমার ভালো লাগে।আমরা শুধু নিজের জন্য নয় অপরের জন্যও বাঁচি এই বার্তা তাদের মাধ্যমে আরো আরো ছড়িয়ে পড়ুক।কোনরকম আপোষ না করে মাথা উঁচু করে তারা এগিয়ে চলুক…এই শুভ কামনা রইলো।Monami Mitra Sanyal,2nd floor,Neel Ratan Apt,Aban thakur Sarani,Deshbondhu para Siliguri.