মেয়ের বিয়ে কিভাবে দেবেন,মাথার চুল ছিঁড়ছিলেন গরিব রিকশাচালক — তারপর?

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ মেয়ের বিয়ে ঠিক হলেও কিভাবে বিয়ের খরচ সামলাবেন শুধু এ চিন্তাই কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিলো গরিব রিকশা চালক কান্দুরা পালকে। জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের দোমোহনি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিঙ্গিমারি পালপাড়ায় বাড়ি তার। এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সংসার তাঁর। পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতো অবস্থা । রিকশা চালিয়ে উপার্জন হলেও তা দিয়ে কোনোমতে সংসার চলে। টাকা জমানো‌র উপায় নেই । তাই অনেক চেষ্টা চালিয়ে‌ও মেয়ের বিয়ের টাকা জোগাড় করতে পারছিলেন না রিকশা চালক কান্দুরা পাল । এই অবস্থায় কিভাবে হবে মেয়ের বিয়ে তা ভেবে দু’চোখের পাতা এক করতে পারছিলেন না তিনি। পরিচিত কিছু মানুষের কাছে খবর পেয়ে ময়নাগুড়ির এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার শরনাপন্ন হন তিনি । পাশাপাশি জলপাইগুড়ি সদর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির কাছেও সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিলেন । এতেই যেন মুশকিল আসান হল তাঁর। দরিদ্র ওই রিকশা চালকের মেয়ের বিয়ের দায়িত্ব নিতে এগিয়ে এলেন দুই সহৃদয় ব‍্যক্তি। রিকশা চালক কান্দুরা পালের মেয়ের বিয়ের খরচ সামলালেন ময়নাগুড়ির বিবেকানন্দ হ্যান্ডিক্যাপড সোসাইটি নামে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার নবিউল ইসলাম। পাশাপাশি আর্থিকভাবে সহায়তা করলেন জলপাইগুড়ি সদর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুচেতা কর। পাশে দাঁড়িয়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য এবং প্রধান। এভাবেই কয়েক‌জনের সাহায্য পেয়ে মেয়ের বিয়ে দিতে পেরে নিজেকে ধন‍্য মনে করছেন রিকশা চালক কান্দুরা পাল । সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন—-