প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ বদলে দিতে নজিরবিহীন কাজ করে চলেছে এই মেলা

নিজস্ব প্রতিবেদন : শিলিগুড়ির প্রান হলো মহানন্দা নদী।আর সেই নদী বাঁচাতে শহরের বুকে একটি মেলা হয়ে যাচ্ছে বছরের পর বছর ধরে। এবারে সেই মেলার ১৫ তম বর্ষ। মেলার মাধ্যমে নদী বাঁচানোর বার্তা এবং নদীর চর দখল করার অপচেষ্টা রুখে দেওয়া হচ্ছে। শিলিগুড়ি মহানন্দা নদীর ধারেই সূর্যসেন পার্কের পাশে সেই মেলা, যা সকলের কাছে উত্তরবঙ্গ পৌষ মেলা নামে পরিচিত, সেই মেলা এবারও শুরু হতে চলেছে। আগামী ২২শে ডিসেম্বর শুরু হতে চলেছে এবারের পৌষ মেলা।আর সেই মেলা চলবে ২ রা জানুয়ারি পর্যন্ত। সোমবার উত্তরবঙ্গ পৌষ মেলা ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎস্না আগরওয়ালা এবং সাংস্কৃতিক বিভাগের আহ্বায়ক দেবাশীষ ঘোষ জানিয়েছেন, মেলার মাধ্যমে একদিকে নদী ও পরিবেশ রক্ষার বার্তা দেওয়া ছাড়াও সাংস্কৃতিক পরিবেশকে সুস্থ স্বাভাবিক কর্মকান্ড চলে।উত্তরবঙ্গের মাটির গান ভাওয়াইয়া থেকে শুরু করে বাউল সহ অন্য লোক সঙ্গীত এবং লোক নৃত্য মেলায় থাকছে। বিভিন্ন সঙ্গীত শিল্পী এবং নৃত্য শিল্পীদের মধ্যে এই মেলাকে ঘিরে বাড়তি উদ্দীপনা তৈরি হয়।এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।প্রতিদিন বিকেল তিনটা থেকে রাত সাড়ে নটা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে।তবে ছুটির দিনগুলোতে দুপুর আড়াইটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। মেলায় পিঠেপুলি থেকে শুরু করে নানান খাবারের স্টল,নাগরদোল্লা,শিশুদের বিনোদনের নানান খেলার বিষয় এবারও থাকছে। এখন মেলার জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি চলছে। এই মেলা শুধু নদী বা পরিবেশ বাঁচানোর বার্তাই দেয় না,মেলা থেকে সংগৃহীত অর্থ দিয়ে সারা বছর ধরে বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কাজ চলে যা এক নজিরবিহীন ঘটনা।মেলা থেকে সংগৃহীত অর্থ দিয়ে দুঃস্থ ও মেধাবীদের বই কিনে দেওয়া ছাড়াও আর্ত অসহায় অসুস্থ মানুষের চিকিৎসায় সাহায্য করা হয়। এককথায় প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ সুস্থ স্বাভাবিক করে তুলতে এই মেলা যেন এক বৈপ্লবিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। অন্য বছরের মতো এবারও এই মেলায় সকলের অংশগ্রহণ চান জ্যোৎস্নাদেবী এবং দেবাশীষবাবুরা। এখন মহানন্দার পাশে মেলার জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন—