বাংলাদেশ থেকে আবারও সংবর্ধনা ও সাহিত্য পুরস্কারের ডালি নিয়ে ফিরলেন সুলেখা

নিজস্ব প্রতিবেদন : আমরা যা কিছু ধারণ করি, যা প্রথাগত শিক্ষার বাইরে আচার-আনুগত্য শেখায় সেটাই আমার ধর্ম। যা আমাকে জাতীয়তাবোধ ও সঠিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তা হল আমার কাছে রাজনীতি এবং যা আমাকে যুক্তিগত শিক্ষায় সচেতন, সভ্য ও সামাজিক করে তোলে তা হলো সমাজনীতি – এমন কথাই বলছেন শিলিগুড়ির কবি ও প্রাবন্ধিক সুলেখা সরকার। সঠিক সাহিত্যচর্চা ও শান্তির ভাষা প্রতিস্থাপন করাই সুলেখা সরকারের একমাত্র উদ্দেশ্য। এই নিয়ে তিনি পাঁচবার বাংলাদেশ গেলেন।

গত ১০ ও ১১ অক্টোবর সুলেখাদেবী বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক স্মারকগ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক ডঃ আনিসুজ্জামান বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন। সেখানে প্রাবন্ধিক সুলেখা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অসাম্প্রদায়িক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোচনা করেছেন। বাংলাভাষাভাষির মানুষকে একসূত্রে ধরে রাখা এবং ভারত বাংলাদেশ মেলবন্ধন এই উদ্দেশ্যে তিনি ঢাকা এবং চট্টগ্রামে একাধিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হন। কবি, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক হিসেবে ‘ চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র ‘ চট্টগ্রাম তাকে দিয়েছে “মাষ্টারদা সূর্যসেন স্মারক সম্মান “। ‘কাব্যকথা সাহিত্য পরিষদ ‘, ঢাকার সাহিত্য আসরের মধ্যমনি হিসেবে তার হাতে তুলে দিয়েছে ‘ সম্মাননা স্মারক ‘। সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি পেয়েছেন ‘ দ্বি-বাংলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক একাডেমি, চট্টগ্রাম এর পক্ষে ‘ সাহিত্য সম্মাননা স্মারক’। ‘ বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ, আন্তর্জাতিক স্মারকগ্রন্থ প্রকাশনা অনুষ্ঠান আয়োজক পর্ষদ, ঢাকা বিশিষ্ট কবি হিসেবে তাকে দিয়েছে ‘ সম্মাননা স্মারক’।
এছাড়াও ইতিপূর্বে যাপনকালের অন্ধকার ও আলোর মধ্যে সৎ, সাবলীল পায়চারীর জন্য ‘ বিশ্ববঙ্গ বাংলা সাহিত্য আকাডেমি ‘ তাকে দিয়েছে ‘কাব্যশ্রী’ উপাধি। প্রবন্ধের জন্য ‘বাংলাদেশ স্বাস্থ্য এন্ড পরিবেশ মানবাধিকার সাংবাদিক সোসাইটি’, ঢাকা, তাকে দিয়েছে, ‘একুশে স্মৃতি গোল্ড এওয়ার্ড -২০১৯’। ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটি ২০১৯–২০’, আগরতলা, ত্রিপুরা, বিশিষ্ট কবি ও সংগঠক হিসেবে তাকে দিয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু স্মারক সম্মাননা’। এক মুঠো রোদ পত্রিকার পক্ষে তিনি পেয়েছেন ‘সাহিত্যকলা সম্মাননা-২০১৯’। মহাবঙ্গ সাহিত্য পরিষদ তাকে দিয়েছে ‘মহাবঙ্গ সম্ভাবনা সম্মান’।
জাতীয় কবিতা মঞ্চ (ঢাকা), সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চ (শিলচর), বরাক উপত্যকা মাতৃভাষা সুরক্ষা সমিতি (শিলচর) তাকে দিয়েছে বিশেষ সম্মাননা। আগামী আন্তর্জাতিক বইমেলায় আসছে তার আর একটি কাব্যসংকলন ‘ কবিতায় শুয়ে কাঁদি ‘। কাজ চলছে ‘সুইসাইড দি মেন্টাল ম্যাথ’ বইটির।
বাংলাদেশ থেকে বারবার পুরস্কার ও সংবর্ধনার ডালি নিয়ে নিজের শহর শিলিগুড়িতে ফিরে সুলেখাদেবী বলেন, চারদিকে যে অসুখ চলছে তার থেকে সুস্থতায় ফিরতে ধারাবাহিকভাবে লেখালেখির মাধ্যমে সাহিত্য চর্চা ছড়িয়ে দিতে হবে। কল্পনা শক্তি এবং সাহিত্যে তার প্রভাব ফেলে নিজেদের মন ও সমাজকে আরও উন্নত সংস্কারে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।