মৃত্যু সততই দুঃখের কিন্তু এই ব্যক্তির মৃত্যুতে ব্যান্ডপার্টি নিয়ে বের হল শ্মশানযাত্রা!

নিজস্ব প্রতিবেদন : মৃত্যু সততই দুঃখের। মৃত্যু সবসময়ই আমাদের মনে শোক ও দুঃখের আবহ তৈরি করে। কিন্তু কখনো কখনো মৃত্যু আবার অন্যরকম আবহ তৈরি করে।
আজকের দিনে নানা দিক থেকে ভেজাল বাড়ছে। খাদ্যে ভেজাল, আবহাওয়া বা পরিবেশে ভেজাল। জীবনশৈলীতে পরিবর্তন। ফলে চিকিৎসা বিজ্ঞান মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে বলে জানালেও ভেজাল পরিবেশ নানান রোগের জন্ম দিয়ে মানুষের মৃত্যু ত্বরান্বিত করছে।হৃদরোগ থেকে শুরু করে ক্যান্সার সহ আরও নানা রোগব্যাধি মানুষের জীবন বিপন্ন করে তুলছে। ফলে কারও জীবনকাল ১০০ বছরে পৌছানোটা বিরাট একটি ঘটনা। যদিও বৈদিক ভারতীয় সভ্যতায় নির্ভেজাল এবং দুর্নীতি মুক্ত পরিবেশের জেরে অনেকের কাছে একশ বছর বেঁচে থাকাটা এক স্বাভাবিক ঘটনা ছিলো। পুরনো ভারতীয় সভ্যতায় অক্সিজেন ছিলো ভরপুর আর খাদ্য সামগ্রী ছিলো ত্রুটি মুক্ত।
ফলে আজকের দিনে ১০৪ বছরে বয়সে কারও মৃত্যু হলে সেই মৃত্যুকে অনেক সময় অন্যরকমভাবে উদযাপন করা হয়। এমনই একটি ঘটনা ঘটলো পাঁশকুড়াতে।
*দাদুর মৃত্যুতে ব্যান্ড বাজিয়ে উদ্দাম নৃত্য করে তা উদযাপন করলো নাতিরা।অদ্ভুত সেই শ্মশানযাত্রার সাক্ষী রইল পাঁশকুড়া*।
রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় অবস্থিত
পাঁশকুড়া।সেই পাঁশকুঁড়ার মাইশোরা গ্ৰাম পঞ্চায়েতের শ্যামসুন্দরপুর পাটনা গ্ৰামের ১০৪ বছরের বৃদ্ধ দেবেন্দ্রনাথ আদকের মৃত্যু হয় দুদিন আগে। তার এই দীর্ঘ জীবনের পর ১০৪ বছর বয়সে পরলোক গমনের কারণে তাঁর বাড়ির আত্মীয় স্বজন ও নাতিরা ব্যান্ডপার্টি এবং নৃত্যের সঙ্গে আনন্দ উৎসাহের মাধ্যমে তাকে শ্মশানের উদ্দেশ্যে নিয়ে যান দাহ করার জন্য।এই ধরনের ঘটনায় হতবাক সকলেই।পাঁশকুড়ায় বলা যায় এই প্রথম নজীরবিহীন ঘটনা।বর্তমান সময়ে বহু মানুষই বিভিন্ন শারীরিক কারণে ৫০ পার হতে না হতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। সেই জায়গায় দেবেন্দ্রনাথ আদক দীর্ঘ বছর জীবিত থাকার পর এই বয়সে পরলোক গমন করার কারণেই আত্মীয় পরিজন থেকে শুরু করে প্রতিবেশীরা আনন্দের সঙ্গে তাকে দাহ করতে নিয়ে যান। তাদের কাছে এই ১০৪ বছরের মৃত্যুটা দুঃখের নয় আনন্দের।