
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ ২০১৯ সালে দেড় বছর বয়স থেকে এই শিশুর শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে অপারেশন শুরু,এখন ২০২৩,চার বছরে এই শিশুর শরীরে মোট চারটে অপারেশন হয়েছে। এখনো আরও কতগুলো অপারেশন হবে, কে জানে।তবে শিশুর বাবা মা বারবার পুত্র সন্তানকে বাঁচাতে মানুষের সাহায্য সংগ্রহ করতে করতে দিশেহারা। আবারও আগামী ৩ জুন এই শিশুকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হবে বেঙ্গালুরু।কেননা,শিশুর ব্রেন টিউমার রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে রয়েছে মন ও মস্তিষ্কে হাইপার এক্টিভিটি। এরমধ্যেই ভয়ঙ্কর চঞ্চল এই শিশুকে সামলে রীতিমতো যুদ্ধ চালিয়ে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সি বি এস ই বোর্ডের তত্বাবধানে দারুণ ফল করেছে প্রিয়াংশু দে। আগামী দিনে ডাক্তার হতে চায় প্রিয়াংশু। কিন্তু একদিকে ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য প্রচুর টাকা চাই অপরদিকে ডাক্তারি পড়তে হলেও অনেক টাকা চাই, মেধাবী ছাত্র দিনরাত ভেবে চলেছে কি করবে।যদিও শিলিগুড়ির বিশিষ্ট সমাজসেবী এবং সঙ্গীত শিল্পী অনিন্দিতা চট্টোপাধ্যায় সপ্তম থেকে দ্বাদশ শ্রেনী পর্যন্ত প্রিয়াংশর যাবতীয় খরচ বহন করে এক ব্যতিক্রমী মানবিক ও সামাজিক কাজের বিরল নজির সৃষ্টি করেছেন।আগামীদিনে প্রিয়াংশু ডাক্তারিতে সুযোগ পেলে তারজন্যও পুরো সহযোগিতা করতে প্রস্তুত অনিন্দিতাদেবী। তাঁর এই অকৃত্রিম সহযোগিতার জন্য তাঁর প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন প্রিয়াংশু ছাড়াও ওর বাবা রাকেশ পাল,মা উমা পাল।
মেধাবী ছাত্র প্রিয়াংশু পড়ার ফাঁকে সাংসারিক দুঃখ কষ্টের পরিস্থিতি সামাল দিতে মনে শক্তি সঞ্চয় করতে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসকে স্মরন করে। পড়াশোনা মনে রাখার জন্য ঘরের দেওয়ালে বিভিন্ন নোটসের চিরকূট সাটিয়ে রাখে এই ছাত্র। আর ওটাই তাঁর ৮২ শতাংশ নম্বর পাওয়ার বিশেষ পদ্ধতি।
প্রিয়াংশুদের এখন ভাড়া বাড়ি শিলিগুড়ি হায়দরপাড়ায়।ওর ছোট ভাই সোহনের বয়স এখন সাড়ে ছয় বছর। দেড় বছর বয়সে ২০১৯ সালে সোহনের বাম চোখে একটি অপারেশন হয়।তারপর ২০২০ সালে আবারও সোহনের বাম চোখে দুটি অপারেশন হয়। ২০২১ সালে বেঙ্গালুরুতে সোহনের হার্টে অপারেশন হয়। এখন সাড়ে ছয় বছরে সোহন শিলিগুড়ি হায়দরপাড়ার একটি স্কুলে কেজিতে পড়ছে।কিন্তু প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ছে সোহন,কখনো মাথা ব্যথা,কখনো পেট ব্যথা।কখনো ঘরের মধ্যে চিৎকার, হই হুল্লোড়, হাইপার এক্টিভিটি। ভয়াবহ চঞ্চলতা,খিচুনি এবং অস্বাভাবিক আচরণ। সোহনের বাবামা প্রিয়াংশুর ওপর ঘরে সোহনকে ছেড়ে সারা দিনের কাজে বেরিয়ে যান।আর ভয়াবহ অসুস্থ এবং চঞ্চল ভাইকে সামলে নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া এক দুঃসাধ্য কাজ,কিন্তু সেই কাজটি সহজেই করে গিয়েছে প্রিয়াংশু।রবিবার বিশ্ব মাতৃ দিবসে প্রিয়াংশুর মা উমাদেবী বলেন, ঘরের এত সমস্যা না থাকলে প্রিয়াংশু ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেতো।আর প্রিয়াংশুর আরেক মা হলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী অনিন্দিতা চট্টোপাধ্যায়। তিনি থাকলে প্রিয়াংশু পড়াশোনার শক্তি পেতো না সর্বোপরি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের জীবন আদর্শ বা লড়াই করার চিন্তাধারা প্রিয়াংশুকে উদ্বুদ্ধ করেছে মনের শক্তি যোগাতে। এখন সোহনের চিকিৎসার জন্য তাদের সাহায্য চাই। সকলের মানবিক মুখ থাকলে সোহন ভালো হবে এবং প্রিয়াংশুর পড়াশোনা এগোবে। সাহায্যের জন্য গুগল পে নম্বর 9641898263/8371986416

আরও বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন —