সুবীর অধিকারী(তবলা শিল্পী, শিলিগুড়িঃ সকলকে মহাসপ্তমীর শুভেচ্ছা। সবাই পুজো নিয়ে অনেক কিছু ভাবছেন, অনেক কিছু করছেন।আমি আমেরিকার পুজো নিয়ে খবরের ঘন্টায় দুএকটি কথা লিখছি।আমেরিকায় পুজো হয় একদিনে। ২০১৪ সালে একবার আমি লস এঞ্জেলস ছিলাম। একটি অনুষ্ঠানে তবলা বাজানোর আমন্ত্রণে গিয়েছিলাম।সেখানে প্রখ্যাত বাউল শিল্পী পূর্নদাস বাউলের সঙ্গে দেখা হয়েছিল।তার অনুষ্ঠানের আগে আমি তবলা বাজিয়ছিলাম। সেখানে দেখলাম,একদিনেই সপ্তমী, অষ্টমীী,নবমী,দশমী।চারদিন ধরে পুজো করার অনুমতি মেলে না।যদিও ভারত সেবাশ্রমের মতো সংস্থা নিয়ম মেনেই এখানকার মতোই পুজো করে। তবে প্রতিমা সেখানে বিসর্জন হয় না। পুজো হওয়ার পর একেকজন একেকটি প্রতিমা প্যাকেট বন্দি করে বাড়ি নিয়ে যায়।কেও হয়তো গণেশ প্রতিমা বাড়ি নিয়ে গেলো,কেও বাড়ি নিয়ে গেলো কার্তিককে।কারও বাড়ি সরস্বতী বা লক্ষী।কেও নিলো দুর্গা।পরের বছর আবার যে যার মতো সেসব প্রতিমা নিয়ে এলে পুজো শুরু হয়।
আমি ২০০৪ আর ২০১৪ দুবার পুজোর মধ্যে আমেরিকায় ছিলাম।একবার পূর্নদাস বাউলের সঙ্গে দেখা হলেও একবার প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী বাপি লাহিড়ীর সঙ্গে দেখা হয়।দুবারই আমি তবলা বাজাতে গিয়েছিলাম শিলিগুড়ি থেকে। বাপি লাহিড়ীর সঙ্গে ভারত সেবাশ্রম সংঘে প্রসাদ নেওয়ার সৌভাগ্যও হয়। খিচুড়ি, ভাজা,লাবড়া,চাটনি।সিঁদুর খেলা দেখেছি বেশ শৃঙ্খলার মধ্যে হয়।পরিবেশ বিষয়ে সবাই সচেতন।দূষন চলবে না।আমাদের মতো এরকম পটকা কেও ফাটায় না।দীপাবলিতেও আলোর মালা দেখেছি কিন্ত পটকা ফাটাতো দেখিনি।