নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ শিলিগুড়ি মহকুমার গ্রামগুলোতে মহিলাদের নিয়েই চলছে বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র। পুরুষদের অনেকেই সেই সব কেন্দ্রে নাম লেখালেও লজ্জায় তারা কেন্দ্রে আসছেন না।
শিলিগুড়ি শহরেই রয়েছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। নাম বেটার টুমোরো ফাউন্ডেশন। সেই সংস্থার প্রধান কর্ণধার চিরঞ্জীব চ্যাটার্জী। বিভিন্ন রকম সামাজিক কাজ করে এই সংস্থা। এরমধ্যে গত আগস্ট মাস থেকে যুক্ত হয়েছে বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র।
শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া গুলমা চা বাগানের খাটাল বস্তি, বাগডোগরা লাগোয়া কাদোপানি, ঘোষপুকুরের কমলা চা বাগান অঞ্চল, শিলিগুড়ি জলপাইমোড় লাগোয়া নতুন পাড়া বস্তুিতে চলছে এই সব শিক্ষা কেন্দ্র। এর বাইরে দাগাপুরেও খোলা হয়েছে একটি কেন্দ্র। চা বাগানের শ্রমিক, গৃহ পরিচারিকা, জনমজুররা এইসব বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্রে নিয়মিত এসে কিছু শিক্ষা গ্রহণ করছে। তবে অধিকাংশ শিক্ষার্থী মহিলা। কেন্দ্রগুলোর প্রধান পরিচালন কর্তা চিরঞ্জীব চ্যাটার্জী বলেন, পুরুষ শিক্ষার্থীরা প্রথমে নাম লেখালেও পরে তারা আর আসছেন না। কারণ তারা লজ্জা পাচ্ছে।ফলে মহিলারাই মূল শিক্ষার্থী।
ব্যাঙ্কে কিভাবে ফর্ম পূরন করে টাকা জমা করতে হয়, যোগ- গুন- ভাগ কিভাবে করতে হয়, কিভাবে খবরের কাগজ পড়তে হয় প্রভৃতি শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে তাদের। সম্প্রতি কেন্দ্রগুলোর শিক্ষকদের কিছু ওষধি গাছ বিলি করা হয়। যেমন নীল, হরিতকী। আবার গত সপ্তাহে শিক্ষার্থীদের মধ্যে লাউ, করলার বীজ বিতরন করা হয়। এসব বিলির উদ্দেশ্যই হলো, শিক্ষার্থীদের চাষবাসের মাধ্যমেও স্বনির্ভর করে তোলা।
সমাজসেবী চিরঞ্জীববাবু বলেন, এরপর তার শিক্ষার্থীদের ফিনাইল, শ্যাম্পু, ভেসলিন তৈরি শিখিয়েও স্বনির্ভর করে তুলতে চান যাতে তারা সেসব বাড়ি বাড়ি বিক্রি করতে পারে। এখন পর্যন্ত তাদের এসব কেন্দ্রে ষাট জনেরও বেশি শিক্ষার্থী নাম লিখিয়েছে।