নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলিগুড়িঃ ১১৮ বছরেও দিব্যি হেসেখেলে আছেন শিলিগুড়ি রবীন্দ্রনগরের বৃদ্ধা সরস্বতী দাস। সুগার নেই, প্রেসার নেই।অন্য রোগব্যাধিও নেই বললেই চলে।তবে তার দুঃখ একটাই,স্বামী,এক পুত্র,এক কন্যা এবং দুই মেয়ে জামাই প্রয়াত হয়েছেন। বৃদ্ধাা দাবি করেন,তার বয়স ১১৮। আর এই বয়সেও একটুআধটু হাটাহাটি করা এবং সবুজ শাকসব্জিই তার বেঁচে থাকার প্রধান সুত্র বলে তিনি জানান। যদিও তার বয়স ভোটের কার্ড অনুযায়ী ৯৯ বছর হবে পয়লা জানুয়ারি।
শিলিগুড়ি ঘোঘোমালিতে বৃদ্ধার এক মেয়ের বাড়ি।সেখানেই তিনি এই সময় আছেন। তার এক নাতি লোকনাথ দাস।লোকনাথ জানালেন, তারা তার বৃদ্ধা দিদিমার প্রতি সবসময় নজর রাখেন। আজকাল অনেকে বৃদ্ধবৃদ্ধাদের রাস্তায় ফেলে আসছেন বা বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। তারা এই নীতির ঘোর বিরোধী। সবসময় তারা আদর যত্নে রেখেছেন তাদের দিদিমাকে। সবমিলিয়ে সরস্বতীদেবীর এখন শতাধিক নাতিনাতনি ও পুতি।
সরস্বতীদেবী বলেন, ১৯৪৯ সালে তিনি দুর্ভিক্ষ দেখেন।তারপরের অনেক ঘটনা দেখেছেন।সব মনে নেই। তবে শাকসব্জি খেতে ভালোবাসেন। তার দেশের বাড়ি ছিল বাংলাদেশের পাবনাতে। দেশ ভাগের পর চলে আসেন এপার বাংলায়। তার স্বামীর নাম যদুনাথ দাস। স্বামী প্রয়াত হয়েছেন। প্রতিদিন তিনি সূর্য প্রণাম করেন। গীতা পাঠও করেন। আবার সুইসুতো দিয়ে কাঁথা সেলাইও করেন। সময় হলে নাতিনাতনিপুতিদের রাজকন্যারাজপুত্রের গল্পও শোনান। তবে এখন তিনি নাতিপুতিদের অনেক স্বপ্নের গল্প শোনালেও নিজে আর স্বপ্ন দেখেন না। তার এখন শেষ ইচ্ছে,গোবিন্দের কৃপায় দেহ রাখা। তবে তার মতো অনেকে যখন বৃদ্ধাশ্রমে আছেন তখন তিনি একবারও বৃদ্ধাশ্রমে যাওয়ার কথা ভাবেন না। তার কথায়, লোকনাথদের মতো চেতনা সম্পন্ন নাতি থাকলে বৃদ্ধাশ্রমে কেন যাবো?