পুজো মানে সংস্কৃতিরও উন্নয়ন

শিল্পী পালিত ( সহসম্পাদিকা, খবরের ঘন্টা)ঃসকলকে জানাই শুভ শারদীয়ার অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। এ পর্যন্ত সাংবাদিক বাপি ঘোষ দাদার লেখা, আমার সুরে ও আমার গলায় গাওয়া সামাজিক সচেতনতার তেরো খানা গান রেকর্ড হয়েছে। কয়েকটি পুজো প্যান্ডেলে সেগুলো বাজানোও হচ্ছে। ক্লাব কর্তৃপক্ষ গুলোকে জানাই অনেক ধন্যবাদ। নিজেদের গান গুলো পুজো প্যান্ডেলে শুনতে পাওয়ার সে আনন্দ, সে অনুভুতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।স্থানীয় আরো দু-একজন শিল্পীর গানও পুজো প্যান্ডেল গুলিতে বাজছে শুনলাম। ভালো লাগলো। তবে এ প্রসঙ্গে আমি বলতে চাই, আমাদের শিলিগুড়ির বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তা যদি পালা করে আমাদের শিলিগুড়ির যে সব সংগীত শিল্পীদের গানের ক্যাসেট বেরিয়েছে তাদের গান গুলো পুজো প্যান্ডেল গুলিতে বাজান, তবে স্থানীয় শিল্পীরা উৎসাহিত হবেন আরো অনেক বেশি। আজকাল কলকাতার মতো আমাদের শিলিগুড়িতেও দ্বিতীয়া বা তৃতীয়া থেকেই পুজো উদবোধন শুরু হয়ে যায়। আমরা ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়ি। আমাদের এখানেও শুরু হয়েছে নানান সামাজিক দিক নিয়ে বড় বড় থিম পুজো। বড়দের সাথে সাথে শিশু মনেও সেগুলো ভালোই প্রভাব ফেলছে। শিশুরাও সমাজের নানান দিক নিয়ে ভাবতে শিখছে। সেভাবেই স্থানীয় শিল্পীদেরও যদি একই ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়, তাতে সমাজের মঙ্গল হবে বলে আমি মনে করি।অনেকে বলেন, আগের মতো গানবাজনার রেওয়াজ আর এখন সেভাবে দেখা যায় না।কিন্তু এভাবেই যদি স্থানীয় শিল্পীরা গুরুত্ব পান তবে অনেক শিশুই গান শিখতে আগ্রহী হবে এবং অভিভাবকরাও বাচ্চাদের গান শেখাতে আগ্রহী হবেন। আমি যেহেতু একজন গানের শিল্পী তাই এই কথা গুলোই আমার মনে এলো এবং আপনাদের সাথে আমি তা ভাগ করে নিলাম। পুজো দেখাটা যেমন মানুষের মিলনমেলা দেখা তেমনই পুজো মানে আমাদের সংস্কৃতিরও উন্নয়ন। সকলে ভালো থাকবেন। পুজো সকলের খুব ভালো কাটুক।।