শান্তির পরিবেশ তৈরির ভাবনায় নিজেদের ভোগের সংস্কৃতি ভুলে এই বিদেশিরা ভারতীয় সংস্কৃতির কীর্তন উৎসবে

নিজস্ব সংবাদদাতা,শিলিগুড়ি : নদীয়া জেলার মায়াপুরে গৌড় পূর্নিমার আগে কীর্তন মেলা অনুষ্ঠিত হয় প্রতি বছর। সেই দিকে তাকিয়ে গৌড় পূর্নিমার আগে শিলিগুড়ি ইসকন মন্দিরেও শনিবার ১৭ ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হয়েছে কীর্তন মেলা।আর সেই কীর্তন মেলায় কীর্তন শোনার জন্য শয়ে শয়ে ভক্তরা শিলিগুড়ি ইসকনে উপস্থিত হচ্ছেন। রবিবারও এই কীর্তন মেলায় উপস্থিত হয়ে হরেকৃষ্ণ নাম শোনার জন্য প্রচুর ভক্তের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।এদিন শিলিগুড়ি ইসকন মন্দিরে ভক্তদের তিল ধারনের জায়গা ছিলো না।শেষে ভক্তদের কীর্তন শোনার জন্য এল ই ডি স্ক্রীন বসানো হয়। সোমবার পর্যন্ত চলবে এই কীর্তন মেলা।এই মেলায় বিভিন্ন স্থান থেকে ৩৪টি কীর্তনের দল অংশ নেয়। আমেরিকা, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিন আফ্রিকা , মরিশাস ছাড়াও বৃন্দাবন সহ বিভিন্ন স্থান থেকে কীর্তনের দল ইসকন মন্দিরে এসে পরিবেশকে অন্যরকম করে তুলেছেন। ইসকনের অনেক বিদেশি ভক্ত যেভাবে ভারতবর্ষের গৌড়ীয় সংস্কৃতি গ্রহন করে কীর্তনে অংশ নিচ্ছেন তা সত্যি উল্লেখ করার মতো। ভারতীয়দের মধ্যে একটা অংশ ভারতীয় সংস্কৃতি ভুলে অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় বিদেশি সংস্কৃতির ঢঙে রিল ইত্যাদি সংস্কৃতিতে মেতেছে তখন বিদেশিরা ভোগের সংস্কৃতির মধ্যে কিছু নেই বুঝতে পেরে মহামূল্যবান ভারতীয় গৌড়ীয় সংস্কৃতির হরেকৃষ্ণ মন্ত্রকে আঁকড়ে ধরেছেন। শিলিগুড়ি ইসকনে কীর্তনের এমন উৎসব সাম্প্রতিককালে নজিরবিহীন। শিলিগুড়ি ইসকনের সভাপতি অখিলাত্মাপ্রিয় দাস জানিয়েছেন, ইসকন প্রতিষ্ঠাতা প্রভুপাদ চেয়েছিলেন হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্রের মাধ্যমে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে।সেই দিকে তাকিয়ে এই কীর্তন উৎসবের মাধ্যমে শান্তির বার্তা দেওয়া হচ্ছে। আজ রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ চলছে, আজ প্যালেস্তাইন ইজরায়েল যুদ্ধ চলছে । এইসব যুদ্ধ বা হিংসা কখনোই পৃথিবীর মানুষকে মুক্তি দিতে পারে না, বা পৃথিবীর উন্নতি ঘটাতে পারে না।বরঞ্চ এইসব যুদ্ধ বা পরস্পর হিংসা পৃথিবীকে ক্রমশ প্রাচীন যুগ এবং ধ্বংসের দিকে নিয়ে চলেছে। সেই দিকে তাকিয়ে তাদের এই কীর্তন উৎসব। তাঁরা বিশ্বাস করেন, হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র সকলের হৃদয়ে ছড়িয়ে দিতে পারলে এক নতুন ভালোবাসার পরিবেশ তৈরি হবে।কেননা জাতিধর্মবর্ন নির্বিশেষে সবার হৃদয়ে ভাগবান শ্রীকৃষ্ণ বিরাজ করেন। সকলের মধ্যে হরিনামের প্রেম যত প্রচার হবে ততই আগ্রাসী মনোভাব বা হিংসার মনোবৃত্তি কমে আসবে বলে শিলিগুড়ি ইসকন সভাপতি মনে করেন।আর সেই লক্ষ্যেই তাদের এই কীর্তন উৎসব।

বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন :