রাস্তায় পড়ে থাকা জ্বরে আক্রান্ত বৃদ্ধাকে হাসপাতালে পৌঁছে আবারও ব্যতিক্রমী কাজের নমুনা সোমনাথের

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ শিলিগুড়ি গার্লস হাইস্কুলের কাছে রাস্তার ধারে পড়েছিলেন এক বৃদ্ধাা। তাঁর জ্বর হয়েছে। কিন্তু জ্বরের কথা শুনে অনেকেই তাঁর কাছ থেকে আরও বেশি করে সরে যাচ্ছিলেন। এই অবস্থায় খবরটি পেয়ে সব ভয় দূরে ঠেলে সেবা, স্রেফ সেবার ভাবনায় ওই বৃদ্ধাকে শিলিগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার বিকালে ওই ব্যতিক্রমী সামাজিক কাজ করার সময় অবশ্য সোমনাথবাবু শিলিগুড়ি থানার কিছু পুলিশ কর্মীরও সহযোগিতা পান। জানা গিয়েছে বৃদ্ধার নাম ফতেজান। বাড়ি দক্ষিন চব্বিশ পরগণার ক্যানিংয়ে। কোনওভাবে তিনি তাঁর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে শিলিগুড়ি গার্লস হাইস্কুলের কাছে পড়েছিলেন। আবহাওয়া পরিবর্তন বা ঠান্ডা গরমে অযত্নে রাস্তায় পড়ে থাকাতে তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকালে কেও কেও খবরটি পেলেও করোনা গুজব বা আতঙ্কের কারণে বৃদ্ধার সামনে গিয়েও আর সাহস করে তাঁকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার সেবাটুকু করতে পারেননি। শেষে ব্যতিক্রমী সমাজসেবী হিসাবে চিহ্নিত সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় খবরটি পেয়ে বৃদ্ধাকে হাসপাতালে পৌঁছে চিকিৎসা পরিষেবার আওতায় নিয়ে আসেন। এজন্য সোমনাথবাবু পুলিশেরও সহযোগিতা নেন। প্রসঙ্গত প্রায়ই সোমনাথবাবু রাস্তার ধারে পড়ে থাকা অসহায় বৃদ্ধবৃদ্ধাদের হাসপাতাল বা মেডিকেল কলেজে পৌঁছে দেন। বহু বছর ধরে তিনি এই কাজ করে চলেছেন ধারাবাহিকভাবে। এদিনের কাজটি তাঁর সেইসব ব্যতিক্রমী সামাজিক কাজের আর একটি নতুন মাত্রা যোগ করলো। এদিন এ প্রসঙ্গে সোমনাথবাবু খবরের ঘন্টাকে বলেন, জ্বর মানেই কিন্তু করোনা নয়। এইসময় অনেকের আবহাওয়া পরিবর্তনের জ্বরও হচ্ছে। আর করোনা নিয়ে অহেতুক গুজবে কান না দেওয়াই কাম্য। আতঙ্কিত হওয়ার ব্যাপারও নেই। তবে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। মেনে চলা দরকার সরকারি নির্দেশিকা।