শিলিগুড়িতে পুলিশ কমিশনারেটের অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা সীমাকে

নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলিগুড়িঃ নারী ও শিশু পাচারের বিরুদ্ধে স্বয়ংসিদ্ধা প্রকল্প অনুযায়ী শনিবার শিলিগুড়ি বর্ধমান রোডের একটি ভবনে অনুষ্ঠান করল শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট। কমিশনারেটের অধীন শিলিগুড়ি মহিলা থানাও এই অনুষ্ঠানে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে। গত কয়েকদিন ধরে এই অনুষ্ঠান সফল করার জন্য মহিলা থানার ওসি মমতাজ বেগম সক্রিয় ভূমিকা গ্রহন করছিলেন। শনিবার সকাল থেকে শিলিগুড়ির বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রীরা বর্ধমান রোডের ওই ভবনে পৌঁছে যায়।এরপর পুলিশ কমিশনার ভরতলাল মিনা অনুষ্ঠান মঞ্চে এসে প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। তার সঙ্গে ছিলেন ডিসিপি গৌরবলাল, শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক সিরাজ দানেশ্বর প্রমুখ।শিলিগুড়ি কুলিপাড়া অঞ্চলের স্কুল ছাত্রী তথা সিনির স্বেচ্ছাসেবী সীমা শাকে অনুষ্ঠানে সম্বর্ধনা দেন পুলিশ কমিশনার। সীমা বস্তি এলাকায় থেকেও বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তাছাড়া শিশুশ্রম ও নেশার বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে সে। সীমা একটি দৃষ্টান্ত তৈরি করায় পুলিশ কমিশনার তাকে বিশেষভাবে উৎসাহিত করেন এবং বলেন, সবাই যদি সীমার মতো এগিয়ে আসতো তবে সমাজের অনেক ভালো হোত। মহকুমা শাসক এবং পুলিশ কমিশনার দুজনেই নারী পাচারের বিরুদ্ধে সকলকে সচেতন করেন। অনুষ্ঠানে একটিয়াশালের তিলেশ্বরী স্কুলের ছাত্রীরা নৃত্য পরিবেশন করে। খবরের ঘণ্টার উদ্যোগে তৈরি হওয়া নারী ও শিশু পাচার বিরোধী দুটি গান পরিবেশিত হয় অনুষ্ঠান স্থলে। খবরের ঘন্টার সহসম্পাদিকা শিল্পী পালিত সিনি হোমের শিশুদের নিয়ে নারী ও শিশু পাচার বিরোধী সংগীত পরিবেশন করেন। তার সঙ্গে ছিল স্কুল ছাত্রী অবনশিখা রায়ও। সেখানে পুলিশ কমিশনার এর পক্ষ থেকে গুড টাচ ব্যাড টাচ নিয়ে সচেতনতার প্রচার হয়। অনুষ্ঠানে সিনির কর্মকর্তা শেখর সাহা , সমাজসেবিকা জ্যোৎস্না আগরওয়ালা, ওয়ার্ল্ড ভিশনের আমোস শেরিং সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সকলকে চাইল্ড লাইনের ১০৯৮,১০০ ডায়াল নিয়েও সচেতন করা হয়।