নিজস্ব সংবাদদাতা,দার্জিলিং, ২৩ অগাস্টঃ সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই পর্যটনের দরজা খুলতে চলেছে দার্জিলিং পাহাড়ে। রবিবার দার্জিলিং হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং হিমালয়ান ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন কমিটির বৈঠকের পর এমনই সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই এই দুই সংস্থার পক্ষ থেকে জিটিএ এবং রাজ্য সরকারের কাছে লিখিতভাবে তাদের প্রস্তাবের কথা জানানো হবে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে দার্জিলিং পাহাড়ের হোটেল, রিসর্ট এবং হোম স্টেগুলি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার ব্যাপারে বৈঠকে সহমত হলেও, জিটিএ এবং রাজ্য সরকারের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরই কবে থেকে পর্যটকদের জন্য পাহাড়ের দরজা খুলে দেওয়া হবে তা জানা যাবে।
গত ১৯ শে আগস্ট দার্জিলিং-এর জিমখানা হলে জিটিএ চেয়ারম্যান অনিত থাপার সঙ্গে দেখা করেন দার্জিলিং হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং হিমালয়ান ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন কমিটির প্রতিনিধিরা। সেখানেই পর্যটকদের জন্য পাহাড়ের দরজা খুলে দেওয়ার ব্যাপারে অনিত থাপার সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়। সেই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতেই রবিবার বৈঠকে বসেন দুই সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এদিনের এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এস এন প্রধান এবং সাঙ্গে শেরপা। পাহাড়ের পর্যটনের সঙ্গে জুড়ে থাকা প্রায় সমস্ত সংগঠনের প্রতিনিধিরাও এদিনের বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে সহমত হয়, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে পাহাড়ের হোটেল, রিসর্ট এবং হোম স্টেগুলি খোলার ব্যাপারে জিটিএ এবং রাজ্য সরাকারকে আবেদন জানানো হবে। পাহাড়ের এন্ট্রি পয়েন্টগুলিতে হেলথ ক্যাম্প করার পাশাপাশি মনিটরিং টিম রাখারও প্রস্তাব দেওয়া হবে জিটিএ-কে। দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং সহ পাহাড়ের সমস্ত পার্কিং জোন এবং গাড়ীর সিন্ডিকেটগুলিকে সেনিটাইজ করার ব্যাপারেও জিটিএ-র কাছে প্রস্তাব রাখা হবে। জিটএ এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সবুজ সঙ্কেত আসার পরেই পাহাড়ের হোটেল, রিসর্ট, হোম স্টে খোলার ব্যাপারে চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন দার্জিলিং হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর সভাপতি সাঙ্গে শেরপা।
প্রসঙ্গত, কোভিড পরিস্থিতিতে সমস্ত বিধি মেনে জুনের ১০ তারিখ থেকে পাহাড়ের হোটেল, রিসর্ট এবং হোম স্টেগুলি খুলে দেওয়া হলেও জুলাই-এর ১ তারিখ থেকে ফের বন্ধ হয়ে যায় পাহাড়ের হোটেল, রিসর্ট এবং হোম স্টেগুলি। কোভিড পরিস্থিতিতে পাহাড়ে সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং দুই দফায় মোট ১৪ দিন লকডাউনের কারণে, পর্যটকদের জন্য পাহাড়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে জিটিএ।