সমাজের অবহেলিতদের নিয়ে রাখিবন্ধন বাগডোগরায়

নিজস্ব প্রতিবেদন,শিলিগুড়িঃঃঃবাগডোগরায় থাকে প্রতিবন্ধী পায়েল রায়।ওর বাবা নেই।ও একা হাঁটতে বা চলতে পারে না।ছোট থেকেই ওরা মা অঞ্জলি রায় ওকে কোলে করে স্কুলে পৌছে দেয়। এখন কলেজে পড়ে পায়েল।এখনও ওকে কোলে করে ওকে স্কুলে পৌঁছে দিচ্ছে ওর মা।এই লড়াইকে স্বীকৃতি জানাল ওয়েস্টবেঙ্গল ভলান্টারি হেলথ এসোসিয়েশন।পবিত্র রাখি বন্ধনকে সামনে রেখে শনিবার শিলিগুড়ি মহকুমার বাগডোগরা সেবায়ন কেন্দ্রে অনুষ্ঠান হয়।সেখানে মা অঞ্জলি রায়কে সংবর্ধনা জানালো ওই সংস্থা। তার সঙ্গে পায়েলকেও স্বীকৃতি দেওয়া হয়।পায়েলের হাতে পিছিয়ে পড়া একদল হতদরিদ্র শিশু রাখি পড়িয়ে দেয়।এইচ আই ভি পজিটিভরা যাতে পবিত্র এই অনুষ্ঠানে নিজেদের বিচ্ছিন্ন মনে না করে সেজন্য তাদের হাতেও রাখি পড়ানো হয়।সমাজের অবহেলিত অস্থায়ী যৌন কর্মীদের মূল স্রোতে ফিরিয়ে রাখতে তাদের হাতেও রাখি পড়ানো হয়।এর বাইরে কৃষক এবং অন্যান্য অবহেলিতদেরও রাখি বন্ধনে সামিল করানো হয়।ওই সংস্থার তরফে সমাজসেবী তরুন মাইতি জানিয়েছেন,তারা বিভিন্নরকম সামাজিক কাজ করে চলেছেন।পিছিয়ে পড়া অবহেলিতদের রাখি পড়িয়ে তারা সকলের মধ্যে পবিত্রতার বন্ধন আরও জোরদার করবার বার্তা দিচ্ছেন।অনুষ্ঠানে সব জাতি সব ধর্মের বন্ধন জোরদার করবার বার্তা দেওয়া হয়। দেশপ্রেমের ওপর সঙ্গীত পরিবেশন করেন আশা কর্মীর মেয়ে ঋতুশ্রী বর্মন। নেপালি নৃত্যও পরিবেশিত হয় সেখানে।প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের দূষন এবং মাতৃ দুগ্ধ সচেতনতার ওপর সেখানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন খবরের ঘন্টার সহ সম্পাদিকা শিল্পী পালিত। সঙ্গীতের মাধ্যমে সামাজিক সচেতনতার প্রচার করায় শিল্পীদেবীব ও তার স্বামী কাঞ্চন পালিতকে সম্মান জানানো হয় অনুষ্ঠানে। সমাজসেবিকা সুচন্দ্রা মিত্রও সেখানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।