মা ও শিশু স্বাস্থ্য নিয়ে আরও কাজ করতে চান ঝুমা

নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলিগুড়িঃ সমাজকর্ম বিষয়ক স্নাতকোত্তর ডিগ্রীতে গোটা রাজ্যের মধ্যে ১৫তম স্থান দখল করলেন শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ি মনিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী ঝুমা দে। মঙ্গলবার এই ফলাফল প্রকাশিত হয়। ঝুমাদেবীর প্রাপ্ত নম্বর ৬৭.৪১ শতাংশ। মা ও শিশু স্বাস্থ্য নিয়ে আগামী দিনে গ্রামেগঞ্জে আরো কাজ করতে চান ঝুমাদেবী।
বহু বছর আগে ঝুমাদেবীর বাবা প্রয়াত হয়েছেন। তারপর বহু লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়া। পাঁচ বছর ধরে তিনি রাজ্যের মহিলা স্বাস্থ্য কর্মী হিসেবে কাজ করছেন। কিছুদিন আগে ছিলেন মাটিগাড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখান থেকে চলে আসেন নকশালবাড়ি মনিরাম উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এখানে চাকরি করার পাশাপাশি তিনি আরো উচ্চশিক্ষার জন্য এম এস ডাবলু বা সমাজকর্ম বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা শুরু করেন। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওয়েস্টবেঙ্গল ভলানটারি হেলথ অ্যাসোসিয়েশন এর কর্মকর্তা তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী তরুন মাইতির তত্ত্বাবধানে তিনি তার পড়াশোনা শুরু করেন সমাজকর্ম বিষয়ে। এরপর মঙ্গলবার বেরোলো তার ফলাফল। তিনি নকশালবাড়ি কলেজের নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ঝুমাদেবী জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ভাবছিলেন এমন কিছু নিয়ে পড়বেন যাতে মানুষ বা সমাজের কাজে আসা যায়। আর সেই ভাবনা থেকেই তিনি সমাজকর্ম বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য লড়াইয়ে নেমে পড়েন। গ্রামে কাজ করার সময় তিনি শিশুদের টিকাকরন বিষয়ে মায়েদের সচেতন করে চলেছেন ধারাবাহিকভাবে। তাছাড়া জন্মনিয়ন্ত্রণের বিষয়ে মায়েদের বুঝিয়ে চলেছেন অনবর। তিনি বলেন, বহু শিশুর মৃত্যু হয় অপুষ্টির কারণে। অনেক সময় বাড়িতে প্রসবের কারণে মায়ের মৃত্যু হয়। সেই কারণে তারা গ্রামে গঞ্জে বুঝিয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বা হাসপাতালে প্রসব করানোর উপর মায়েদের বুঝিয়ে চলেছেন। আগামীতে তিনি এই কাজ আরো ভালোভাবে চালিয়ে যেতে চান। তার আরও বক্তব্য,নিজের সমস্যা নিজেকে আগে বুঝতে হবে। সমাজসেবী তরুন মাইতি ঝুমাদেবীর এই ফলাফলে বেশ খুশি।তরুনবাবু বলেন,মহিলারা যত সচেতন হবেন এবং সমাজের কাজে এগিয়ে আসবেন ততই দেশের মঙ্গল।