হারিয়ে যাচ্ছে ঝুলনের সৃজনশীলতা

নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলিগুড়িঃ একটা সময় ছিল যখন ঝুলন পূর্নিমা এলেই শিশু কিশোরদের মন আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠতো।রথের মেলা থেকেই শুরু হোত ঝুলনের প্রস্তুতি। পাহাড়, নদী,সমুদ্র, রাস্তাঘাট তৈরি তারসঙ্গে আরও অনেক কিছু।মাটি ঘেটে,ঘাসের চাপ কেটে এবং বিভিন্ন পুতুল দিয়ে পরিবেশ সাজানোর মধ্যে একটা সৃজনশীল থীম ভাবনার জন্ম হয়। ভবিষ্যতেে বড় ইঞ্জিনিয়ার হওয়া বা আর্কিটেক্ট হওয়া কিংবা কোনও থিম মেকার হওয়ার প্রাথমিক ভিত কিন্তু ঝুলন থেকেই হোত। এখন চলে এসেছে মোবাইল বা নেট যুগ।ব্যস্ততা চরমে পৌচেছে।ফলে নতুন ছেলেমেয়েরা ঝুলন কি সেটাই জানে না বা ঝুলন নামের সঙ্গে অপরিচিত।যদিও এরমধ্যেই কোনও কোনও অভিভাবক ছেলেমেয়েদের মধ্যে ঝুলনের ভাব বজায় রাখার চেষ্টা করছেন।শিলিগুড়ি আশ্রমপাড়ার পায়েল রায় ও তার স্বামী সৌরভ রায় এইরকম অভিভাবকদের মধ্যে আছেন।পায়েলদেবী তার কন্যা অবনশিখা রায়কে নিয়ে তাদের বাড়িতে ঝুলন তৈরি করেছেন।অবনশিখা যোগ চর্চা করে। জেলা যোগাসন প্রতিযোগিতাতেও সে অংশ নিচ্ছে।অবনশিখা ভালো আর্টও করে।সে পড়ে পঞ্চম শ্রেনীতে।এখন তার মায়ের উৎসাহে প্রথম বছর ঝুলন করেই উদ্দীপ্ত অবনশিখা।তার কথায়,ঝুলন কি তা জানতে পেরে দারুন আনন্দ হচ্ছে। এখন থেকে প্রতিবছর সে এই সময় ঝুলন করতে আগ্রহী।অন্য বন্ধুদেরও সে বাড়িতে আমন্ত্রন জানিয়ে এনে ঝুলন দেখিয়ে চলেছে।