রাষ্ট্রপতি পুরস্কারের জন্য মনোনীত পুলিশ অফিসারকে রাখি টেবিল টেনিস প্রশিক্ষকের,রাখির মালায় ভাসল বাংলা

নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলিগুড়িঃঃ রবিবার রাখির মালায় ভাসল বাংলা।বাদ রইল না উত্তরবঙ্গও। শিলিগুড়ি ভারতনগরে কিশোর বাহিনী রবিবার বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ছোট শিশুকিশোরদের খেলাধুলায় বিশেষ উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে কিশোর বাহিনী। সেখানে এদিন উল্লেখযোগ্য দিক হল,রাষ্ট্রপতি পুরস্কারের জন্য মনোনীত পুলিশ অফিসার অচিন্ত্য গুপ্তকে রাখি পড়ালেন প্রখ্যাত টেবিল টেনিস প্রশিক্ষক ভারতি ঘোষ।সেখানে অচিন্ত্য গুপ্ত জানালেন,তিনি একসময় খুব ফুটবল আর ভলিবল খেলতেন। এখন ছেলেমেয়েরা সব মোবাইল নিয়েই বেশি ব্যস্ত।তাদেরকে খেলার মাঠে আরও বেশি করে আসার জন্য তিনি আবেদন জানান।কিশোর বাহিনীর তরফে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় এবং দেবকুমার দে জানিয়েছেন, এদিনের অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট পুলিশ অফিসার অচিন্ত্য গুপ্ত একটি গাছের চারা উপহার হিসাবে তুলে দেন ন্যাফের পরিবেশপ্রেমী অনিমেষ বসুর হাতে।
শিলিগুড়িতে মহিলাদের সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান সৌমির সদস্যরা এদিন ফুলবাড়ির বাংলাদেশ সীমান্তে গিয়ে বি এস এফ জওয়ানদের হাতে রাখি পড়ান।সেখানে বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষজনদের হাতে রাখি পড়িয়ে তারা ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও জোরদার করবার আবেদন জানান। সৌমির তরফে মিলি সিনহা,শ্রাবনী চক্রবর্তী, অনিন্দিতা,মৌসুমি,সুমিতা,নিকিতা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তারা সকলকে রাখি পড়ানোর সময় বরন করে নেন।তারপর উপহারও প্রদান করেন।
শিলিগুড়ির একটি প্রয়াস নামের সংস্থা বিধান মার্কেটে এক হাত না থাকা সুভাস শীলের হাতে রাখি পড়িয়ে দেন।২০১৫ সালে কেবলের কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় একটি হাত কাটা পড়ে সুভাসের। তারপরও হার না মেনে এক হাতেই কেবলের কাজ করে সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন সুভাস।একটি প্রয়াসের তরফে তনিমা ঘোষ,সুস্মিতা দে,দীপ্তি পাল সহ অন্যরা সুভাসের হাতে রাখি পড়িয়ে তাকে উৎসাহ দেন।তাকে তারা কিছু উপহারও তুলে দেন।বাবা নেই , মা নিখোঁজ তারপরও এক দিদি সামান্য কাজ করে তার ছোট ভাইকে নিয়ে বেঁচে আছে। আর সেই ছোট ভাইটি এখন হাত ভেঙে অসুস্থ। বাড়ি ঘোঘোমালিতে।তাদেরকে এদিন তনিমা ঘোষরা রাখি পড়িয়ে কিছু অর্থ সাহায্য করেছেন বলে একটি প্রয়াসের তরফে শক্তি পাল জানিয়েছেন।
অন্য ধ্রুপদ সংগঠন শিলিগুড়ি লায়ন্স ক্লাবের সহযোগিতায় বৃদ্ধাশ্রম নববসন্তে গিয়ে রাখি বন্ধনের আয়োজন করে। সেখানে অন্য ধ্রুপদের তরফে সোমা সান্যাল চক্রবর্তী, লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি মনীশ জাজোদিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের রাখি পড়িয়ে নাচ,গানের মাধ্যমে অন্য পরিবেশ তৈরি করেন তারা।
শিলিগুড়ি মনের রঙ্গোলি স্মাইলিং সোসাইটির এনা সাহাসরকাররা রাস্তায় পড়ে থাকা লোকজন, রিকশা চালক সহ অন্যদের রাখি পড়িয়ে উৎসাহ দেন রবিবার। এভাবে বিভিন্ন মহিলা মানবিক মুখ এবং সামাজিক ভাবনা নিয়ে রাখিবন্ধনে সামিল হয়ে রবিবার অন্য পরিবেশ তৈরি করেন।বীনাপানি সংস্থার তরফে শিল্পী পালিতরাও এদিন অনেককেই রাখি পড়ান।