
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ রেল লাইনে মাথা দিয়ে শুয়ে পড়েছিলেন এই ব্যক্তি।সামনে ছুটে আসছিল ট্রেন। সেই ব্যক্তি তখন আত্মহত্যার নেশায় বুঁদ।কিন্তু হঠাৎ সেই চলন্ত ট্রেন তাঁর সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়লো। নীরবে ছড়িয়ে পড়লো সেই সঙ্গীত, মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের নিউ ময়নাগুড়ি স্টেশন ছেড়ে দোমহনি স্টেশনের দিকে তখন ঝড়ের বেগে ছুটে আসছিলো নিউ আলিপুরদুয়ার থেকে শিয়ালদাগামী ডাউন তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস।আর সেই ট্রেনের ইঞ্জিনে থাকা কর্তব্যরত লোকো ইন্সপেক্টর চন্দন সরকারের তীক্ষ্ণ নজর গিয়ে পড়েছিল ওই ব্যক্তির গতিবিধির উপর।আচমকাই তিনি লক্ষ্য করেন যে এক ব্যক্তি রেল লাইনের উপর মাথা দিয়ে হঠাৎ শুয়ে পড়লেন।মুহূর্তেই তিনি বিষয়টি ট্রেনের চালক ও সহকারী চালকের নজরে আনেন।রীতিমতো ঝুঁকি নিয়ে ওই ব্যক্তির অবস্থানের দেড়শো মিটার দূরে কোনোক্রমে আপতকালিন ব্রেক কষে ট্রেনটিকে দাঁড় করানো হয়।তারপরেই ইঞ্জিন থেকে নেমে ওই ব্যক্তিকে টেনে তোলেন চন্দন বাবু।অনেক বুঝিয়ে মানসিক শক্তি যুগিয়ে ওই ব্যক্তিকে আরপিএফ আধিকারিকদের হাতে তুলে দেন তিনি। জানা গিয়েছে , ওই ব্যক্তির নাম রোহিত সরকার, পেশায় তিনি বেসরকারি পরিবহন কর্মী।কাজ হারিয়ে হতাশায় আত্মঘাতী হতে এসেছিলেন বলে তিনি স্বীকার করেছেন।ঘটনা রবিবার দুপুর ২.১৬ মিনিটের হ’লেও সোমবার উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের তরফে ওই ভিডিয়ো প্রকাশ করে দুই চালক ও ওই লোকো ইন্সপেক্টরকে বাহবা জানানো হয়েছে।
