নিজস্ব প্রতিবেদনঃ আগামী ৩১ আগস্ট সাধারণ গ্রন্থাগার দিবস। ওই বিশেষ দিনে কলকাতায় শিলিগুড়ি থেকে পুরস্কৃত হতে চলেছে শিলিগুড়ির জ্ঞানদা সুন্দরী গ্রামীণ গ্রন্থাগার এবং বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ মহকুমা গ্রন্থাগার।
শিলিগুড়ি রথখোলায় অবস্থিত জ্ঞানদা সুন্দরী গ্রামীণ গ্রন্থাগার। একসময় এই গ্রন্থাগার ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে থাকতো। এখন তার পুরো চেহারায় বিরাট পরিবর্তন এসেছে। গ্রন্থাগারে শিশু বিভাগ থেকে শুরু করে মহিলা বিভাগ সহ আরও অনেক বিভাগ খোলা হয়েছে। বহু বেকার যুবক চাকরির সন্ধান পেতে ওই গ্রন্থাগারে ভিড় করছেন।সেখানে চাকরি সংক্রান্ত বিভিন্ন বই ছাড়াও কর্মসংস্থানমুখী অনেক পত্রপত্রিকাও থাকছে। আবার বিভিন্ন স্কুলের ছেলেমেয়েরাও দল বেঁধে সেখানে আসছে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের পাঠ্যপুস্তকও পাওয়া যাচ্ছে সেই গ্রন্থাগারে। এককথায় পাঠকদের গ্রন্থাগারে টেনে আনার ক্ষেত্রে এই গ্রন্থাগার বড় ভূমিকা গ্রহন করছে। গ্রন্থাগারিক নন্দিতা সিনহা জানিয়েছেন, আগামীতে নেট পরিষেবা চালু করার জন্য ভাবনাচিন্তা চলছে। এখন এই গ্রন্থাগারে পাঠক সংখ্যা ৩৪৫ জন। আর বই সংখ্যা সেখানে ১১৫৮৪টি। ১৯৬৪ সালে এই গ্রন্থাগারটি স্থাপিত হয়েছিলো। গ্রন্থাগারের নিয়মিত পাঠকদের মধ্যে শুভম ভদ্র জানালেন,তিনি কলেজে পড়ার পাশাপাশি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এই গ্রন্থাগারের সুন্দর পরিবেশকে বেছে নিয়েছেন। ওই গ্রন্থাগারেরই পাঠকদের মধ্যে অমৃতা দত্ত,শিবানি দাস, কাঞ্চন রায় জানালেন, তারা এই গ্রন্থাগারে এসে বেশ খুশি। পরিবেশ সেখানে খুব ভালো। ফেস বুক আর হোয়াটসঅ্যাপ এর যুগে মানুষ সব গ্রন্থাগার বিমুখ হয়ে পড়েছে তা তারা বিশ্বাস করেন না। বরঞ্চ সেই গ্রন্থাগারে পাঠক সংখ্যা বাড়ছে। অপরদিকে শিলিগুড়ির বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ মহকুমা গ্রন্থাগারও পুরস্কৃত হতে চলেছে। বিগত কয়েকবছরে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ মহকুমা গ্রন্থাগারের পরিকাঠামোয় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।