গান,ছবি আঁকার সঙ্গে সমাজসেবা করতে ভালোবাসেন মীনাক্ষী

শিল্পী পালিত ঃঃ খবরের ঘন্টার এই ওয়েবপোর্টালেে এর আগে বেশ কয়েকজন শিল্পীর কথা মেলে ধরেছি। শিল্পীদের মনের কথা এই পোর্টালের সংস্কৃতি বিভাগে স্থান পেয়েছে। আজ ভূমিকায় ভূমিকা মীনাক্ষী দাসের কথা মেলে ধরা হল। তিনি তার কথা যেভাবে লিখেছেন কার্যত ঠিক সেভাবেই দেওয়া হল —

—আমি মীনাক্ষী দাস, ছোটবেলায় আমার গানের হাতে খড়ি আমার মা শ্রদ্ধেয়া শ্রীমতী রীনা সেন চৌধুরীর কাছে। তিনি নিজে শিক্ষাজগতের সাথে যুক্ত থেকেও যতটুকু সময় পেতেন আমাকে গানে উৎসাহ দিতেন এবং আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আমার পাঁচ বছর বয়সে আমি প্রথম মঞ্চে অনুষ্ঠান করি একজন শিশু শিল্পী হিসেবে। আমি “শিলিগুড়ি গার্লস হাইস্কুলের প্রাক্তন ছাত্রী”। আমি স্কুলে পড়াকালীন বহু গানের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে পুরষ্কার অর্জন করেছি। আবার এর সাথে সাথে অনেক অনুষ্ঠানে গানের প্রকৃতপক্ষে নেতৃত্ব দেওয়ার কাজও করেছি। এছাড়া খুব ভালোবেসে নাটকও মঞ্চস্থ করেছি। আজও ইচ্ছা আছে সুযোগ পেলে কোনো ভালো নাটকে অভিনয় করার। শিলিগুড়িতে শ্রদ্ধেয় শ্রী বসন্ত মোহন্তের কাছে আমার শাশ্ত্রীয় সঙ্গীত এবং নজরুল গীতির “বিশারদ” শিক্ষা শেষ করি। তারপর উনিশ বছর বয়সে বিবাহসূত্রে শিলিগুড়ি থেকে চলে যেতে হয়েছিল বলে বেশ কিছু বছর আমি এই সাংস্কৃতিক জগতের সাথে ওতোপ্রতো ভাবে জড়িত থাকতে পারিনি। কিন্তু আমার মেয়ে শুভশ্রী দাস আমাকে নানারকমভাবে উৎসাহ এবং তার সাথে ভীষণ ভাবে মানসিক জোর জুগিয়ে চলতো বলে আজ আমি “স্বরাজনন্দিনী”কে এই ভাবে পূর্ণতা দিতে পেরেছি।আমার “স্বরাজ নন্দিনী” এমনই একটি সংগঠন যেখানে কোনো খ্যাতনামা শিল্পী নয় এমন কিছু মানুষ আছেন যারা পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কারণে শুরু থেকেই সাংস্কৃতিক জগতের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে পারেন নি কিন্তু সুপ্ত ইচ্ছাটা ছিলই। কর্মজীবনে প্রতিষ্ঠিত এবং অবসরপ্রাপ্ত অনেকেই এই ” স্বরাজ নন্দিনী”র সদস্য, তাঁরা নিজেরাও আত্মতৃপ্ত কারণ আমার “স্বরাজ নন্দিনী”র শিলিগুড়িতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেমন “ওয়ার্ড উৎসব”, “রবীন্দ্র জয়ন্তী”, “বসন্ত উৎসবে” অংশগ্রহণ করে এছাড়াও আরো নানা উৎসবে অংশগ্রহণ তো আছেই। আমি ছবি আঁকতে, লিখতে (অমিত্রাক্ষর ছন্দের কবিতা, অনু গল্প) এবং আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালোবাসি – এই সবেরই অনুপ্রেরণা আমার ” মা “এবং “মেয়ে”। স্বাভাবিকভাবেই এটা একটা অন্য জগৎ বলে এতে আমি ভীষণ ভাবেই মানসিক শান্তি ও জোর পাই। কলকাতার শ্রী শুভ্রকান্তি ব্যানার্জি মহাশয়ের কাছেও আমি তালিম নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আমার ইচ্ছা “স্বরাজ নন্দিনী” আরও এক নতুন পরিচয়ে – “সমাজসেবী সংস্থা” হিসেবে আত্মপ্রকাশ করুক। আমি নিজে “Siliguri Aahaban Welfare Organisation” এর সাথে যুক্ত যেখানে “রক্ত দান”, “বস্ত্র বিতরণ”, “বিনামূল্যে চিকিৎসা শিবির” প্রায়শই হতে থাকে। মানুষের মাঝে- মানুষের পাশে থেকে তাদের শুভেচ্ছা ও আশীর্বাদ নিয়ে এভাবেই আমি এবং আমার “স্বরাজ নন্দিনী” এগিয়ে যেতে চাই এই প্রার্থনাই করি।