প্লাস্টিক নিয়ে গেলে এবার প্রসাদ নয়, সিদ্ধান্ত আনন্দময়ী কালিবাড়িতে

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ প্লাস্টিক জাতীয় সামগ্রী নিয়ে গেলে এবার কেউ প্রসাদ পাবেন না শিলিগুড়ির ঐতিহ্যমন্ডিত আনন্দময়ী কালিবাড়িতে। পরিবেশের কথা চিন্তা করেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

১৯২৬ সালে চারন কবি মুকুন্দ দাস পরাধীন ভারতে আনন্দময়ী কালি বাড়ি তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা গ্রহন করেছিলেন। পুরনো দিনের মানুষেরা বলেন, এই কালি বাড়ির পাশেই একসময় সব বিপ্লবী একত্রিত হতেন। তারা সেখানে লাঠি খেলায় অংশ নিতেন। এমনকি পরাধীন ভারতে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে জোরদার আন্দোলন সংগঠিত করতে এই কালিবাড়ির গায়ই নাকি অনেকে মা কালীর কাছে শক্তি প্রার্থনায় বসতেন বলে কিছু কিছু মহলে প্রচন্ড রয়েছে। যদিও তার সপক্ষে কোনও প্রমান নেই। তবে চারন কবি মুকুন্দ দাস পালাগান করে এই কালি বাড়ি তৈরিতে যে বিরাট ভূমিকা গ্রহন করেছিলেন তার অনেক প্রমাণ রয়েছে। সেই কালি বাড়ির দুর্গা পুজোয় বিগত ক’বছর ধরেই পরিবেশ সচেতনতার প্রচার চলছে। এবারে স্থির হয়েছে, প্রসাদ গ্রহণ করতে কেও প্লাস্টিক জাতীয় সামগ্রী নিয়ে এলে তাকে প্রসাদ দেওয়া হবে না। কালিবাড়ি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর বিশ্বাস জানিয়েছেন, পরিবেশ সচেতনতার প্রচার তারা চালাবেন পুজোর কদিন। তার সঙ্গে জলের অপচয়ের বিরুদ্ধেও প্রচার হবে। তবে এবারও মাটির দুর্গা প্রতিমা দিয়ে সেখানে পুজো হচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যে সেখানে মার্বেলের স্থায়ী দুর্গা প্রতিমা প্রতিষ্ঠাতা হবে। তারপর থেকে সেখানেই পুজো হবে। তবে সেই দুর্গা প্রতিমা প্রতিষ্ঠিত হলে প্রতিদিনই সেখানে দুর্গা পুজো হবে। পুজোয় আগে পাঁঠাবলি হোত। এখন তা তুলে দেওয়া হয়েছে। তার পরিবর্তে চাল কুমড়ো বলি হয়।
মন্দিরের সভাপতি মৃণাল কান্তি চৌধুরী। আর যুগ্ম সম্পাদক সুদীপ্ত চৌধুরী ও অশোক বসু। কোষাধ্যক্ষ রঘু দাস। মহা ষষ্ঠীর দিন তারা দুঃস্থ মহিলাদের মধ্যে শাড়ি বিলি করবেন বলে ভাস্করবাবু জানিয়েছেন। প্রতিদিনই সেখানে হাজার হাজার দর্শনার্থী আসেন প্রসাদ গ্রহণ করতে। আর এর জন্য কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত ১২ টি সি সি ক্যামেরা বসছে সেখানে।