দিল্লিতে দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন শিলিগুড়ির কবি

নিজস্ব প্রতিবেদনঃঃ দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন শিলিগুড়ির কবি সুলেখা সরকার। গত ২৫ নভেম্বর দিল্লীর ১০ রাজাজি মার্গে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শিলিগুড়ি ফিরে আসার পর ঐতিহাসিক সেই ২৪ মিনিটের স্মৃতি বারবার আওড়ে চলেছেন সুলেখাদেবী। তাঁর কাছে সে স্মৃতি এক বিরাট রোমাঞ্চকর বিষয়।

২০১৭ সালে সুলেখা সরকারের প্রথম কাব্য গ্রন্থ বাংলাদেশের লেখকের সঙ্গে যৌথভাবে প্রকাশিত হয়। নাম কাঁটাতারের এপার ওপার। তারপর আবার সেবছরই cafe কবিতা। এরপর এককভাবে ৫৬টি কবিতা নিয়ে সময়ের সাথে কবিতার কাছে প্রকাশিত হয়। ২০১৮ সালে যৌথভাবে কলকাতা বইমেলায় প্রকাশিত হয় তার কবিতার বই মগ্ন পদাবলি। এর আগে কলকাতা শরৎ সদনে যে কথার অন্তর্বাস নেই প্রকাশিত হয়। এরপর কলকাতা বইমেলায় আসছে তার আর একটি কবিতার বই কবিতায় শুয়ে কাঁদি। এর বাইরে লোক সংস্কৃতির ওপর তার একটি বিশেষ প্রবন্ধের কাজ চলছে।
একের পর এক কবিতা লেখার নেশা ও কবিতার বই প্রকাশ করে এপার বাংলা ওপার বাংলা দুই বাংলাতেই কবি মহলে একটি পরিচিত নাম হয়ে উঠেছেন শিলিগুড়ির এই মহিলা কবি। আর এজন্য বিভিন্ন স্থানে সংবর্ধনাও পেয়ে চলেছেন তিনি। বাংলাদেশের ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, তিনি সম্মান পেয়েছেন। এরমধ্যেই দিল্লি গিয়ে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সুলেখাদেবী অনেকের কাছে আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠেন দিল্লিতে।
সুলেখাদেবী বর্তমানে কিছু গবেষণাধর্মী কিছু কাজ করছেন। আর সেজন্যই আরও বেশি করে তিনি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে উদ্যোগী হন।সুলেখাদেবী বলেছেন, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় তাকে বহু কথা বলেছেন। তিনিও বহু কথা বিনিময় করেছেন। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির সব কথাই তার কাছে মূল্যবান। তবে নতুন প্রজন্মের মধ্যে সুস্থ সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রসারে অনবরত চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ সুলেখাদেবীর মনে বেশ ধরেছে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তাকে বলেছেন, যেসব কাজ করা হবে সেসব কাজে বৈজ্ঞানিক ও যুক্তিনির্ভর দিক থাকতে হবে। আর সুস্থ সংস্কৃতিই পারে সর্বত্র এক মেলবন্ধন ও শান্তির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। সাধারণত বিকেল পাঁচটার পর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মানুষের সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু সুলেখাদেবীর ঘন ঘন ঐকান্তিক চেষ্টার জেরে প্রথা ভেঙে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তাকে বিকেল পাঁচটার পরিবর্তে দুপুর আড়াইটেয় সময় দেন, এজন্য আরও খুশি তিনি।