নৃত্যে সর্বভারতীয় স্তরে স্বর্ণপদক পাওয়া এক শিল্পীর আত্মকথা

শিল্পী পালিতঃ খবরের ঘন্টার সম্পাদক বাপিদার পরামর্শমতো এই নিউজ পোর্টালে আত্মকথা বিভাগ চালু হয়েছে। বহু মানুষ আত্মকথা বিভাগ পড়ছেন এবং খবরের ঘন্টার ফেসবুক পেজ ও ওয়েবপোর্টাল ফলো করছেন তা বুঝতে পারছি। খুব ভালো লাগছে। আপনারা আরও বেশি বেশি করে খবরের ঘন্টাতে লাইক কমেন্ট করে এই সংবাদমাধ্যমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করুন। আর একটি আবেদন, খবরের ঘন্টার ফেসবুক পেজ খুলে কমিউনিটিতে যান। সেখানে গিয়ে ইনভাইট ফ্রেন্ডের মাধ্যমে খবরের ঘন্টার সদস্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করুন। আজ আমাদের আত্মকথা বিভাগে শিলিগুড়ি পূর্ব লেকটাউনের নৃত্য শিল্পী সঞ্চিতা চক্রবর্তী লিখেছেন তার কথা —-

আমি সঞ্চিতা চক্রবর্তী । খুব ছোট বেলা থেকেই নাচের জগতে এসেছি। আমি ছোটবেলায় গৌহাটিতে মণিপুরি নৃত্যের তালিম নিই।পরে আমরা শিলিগুড়ি এসে এখানে ক্লাস নাইন এ ভর্তি হই। শিলিগুড়ি কলেজ থেকে বি এ পাশ করি। তার সঙ্গে বিখ্যাত নৃত্য গুরু সঙ্গীতা চাকীর কাছে এবং কলকাতার রবীন্দ্র ভারতীর অধ্যাপিকা শ্রীমতী অমিতা দত্তের কাছে নৃত্যের তালিম নেই। পন্ডিত বির্জু মহারাজ, শ্রীমতী মলি রয়, গিরিধারী নায়ক আরো গুরুদের সান্নিধ্য পাই। আমি কথক, ভরতনাট্যম, মণিপুরি নৃত্যে অল ইন্ডিয়া তে প্রথম হয়ে স্বর্ণপদক অর্জন করেছি। বিদেশে আমেরিকা, সিঙ্গাপুর এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আমার নৃত্যের ডালি নিয়ে বিভিন্ন সন্মানে ভূষিত হয়েছি। আমার নৃত্যের মন্দির ‘নৃত্য মন্দিরম’ এর সূচনা 1990 সালে। আমার বহু ছাত্র ছাত্রী অল ইন্ডিয়া তে প্রথম হয়ে স্বর্ণপদক লাভ করেছে। বিভিন্ন ছাত্রীরা বড়ো প্রতিযোগিতাতে বিভিন্ন পুরস্কার বা অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। আমার অনেক ছাত্রীরা খুব সুন্দরভাবে তাদের ছাত্রছাত্রী তৈরি করছে। আমি চাই তারা যেন আরো এগিয়ে যেতে পারে। আর আমি যেন আরো ভালো ভাবে সুস্থ সংস্কৃতি এই জেনারেশনকে বা নতুন প্রজন্মকে দিয়ে যেতে পরি। আজ আমি যতটুকু করেছি আমার বাবা মায়ের আশীর্বাদ ও আমার গুরুদের আশীর্বাদে। নাচ নিয়ে আরো এগিয়ে যেতে চাই। আমার মা অশোকা চক্রবর্তী একজন স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন। আমি আজ যতটুকু তার পুরোটাই আমার মায়ের নিরলস পরিশ্রম এর জন্যেই।আমার নাম ও ঠিকানা —-
Sanchita chakraborty..
C/O Manash chakraborty. Nritya mandiram.. lake town east.. kabitirthosaroni..siliguri.. po- bhaktinagor.. dt- jalpaiguri.. pin – 734007