সাংস্কৃতিক বিকাশের লক্ষ্যে এবার গান শিখছে অসুররা

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃপদবি ওদের অসুর। ওদের নিয়ে বহু বছর ধরে অনেক কথা প্রচলিত।আর বলা হয়,ওরা অর্থনৈতিক দিক থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক দিক থেকেও পিছিয়ে। তাই অসুর সম্প্রদায়ের এই ছেলেমেয়েদের সঙ্গীত শেখানোর বিশেষ প্রয়াস শুরু হলো যা একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা হিসাবে চিহ্নিত হয়ে উঠছে বিভিন্ন মহলে।শিলিগুড়ির আনন্দধারা সঙ্গীত একাডেমির সমাজসেবী অনিন্দিতা চট্টোপাধ্যায় এই প্রয়াস নিয়েছেন।
সোমবার ১৪ নভেম্বর শিশু দিবস।এই বিশেষ দিবসকে সামনে রেখে রবিবার শিলিগুড়ির আনন্দধারা সঙ্গীত একাডেমি ডুয়ার্সের নাগরাকাটা কেরন চা বাগানে কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মূলত অসুর সম্প্রদায়ের অনগ্রসর শিশুদের সঙ্গে সেই অনুষ্ঠান হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আনন্দধারার কর্ণধার তথা সমাজসেবী ও সঙ্গীত শিল্পী অনিন্দিতা চ্যাটার্জী, লাটাগুড়ি গ্রীন ওয়েলফেয়ারের কর্ণধার ও আনন্দধারার কার্যকরী সদস্য অনির্বান মজুমদার। অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৪০জন শিশুকে পেন্সিল, রবার,গানের খাতা প্রদান করা হয়।তাদেরকে গানের পরীক্ষাতে বসানোর জন্য ফর্মও পূরন করা হয়। তাদের খেলাধূলার জন্য এদিন বল, ব্যাট ছাড়াও কন্যা শিশুদের জন্য রান্না বাটি প্রদান করা হয়। অনিন্দিতাদেবী জানিয়েছেন, অসুর সম্প্রদায়ের এই ছেলেমেয়েরা সারেগামাপা সহ বিভিন্ন সঙ্গীত শিখছে সাদ্রী ভাষায়।বাংলা সঙ্গীতগুলোকে সাদ্রী ভাষায় অনুবাদ করে অনগ্রসর এই সম্প্রদায়কে সাংস্কৃতিক দিক থেকে এগিয়ে দেওয়ার একটি প্রয়াস মাত্র বলে উল্লেখ করেন অনিন্দিতাদেবী।