
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ শিলিগুড়ি ঘোঘোমালি চয়নপাড়া এলাকার অসহায় সূত্রধর পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ শীর্ষেন্দু পাল।সেই পরিবারে ইতিহাসে অনার্স নিয়ে এম এ পাশ করা তাপসী সূত্রধর বিরল অসুখ মায়োপ্যাথিতে আক্রান্ত। তাপসীর ভাই দীপঙ্করও উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে মায়োপ্যাথিতে আক্রান্ত হয়ে এখন ঘরবন্দি।ওদের চাই পুষ্টিকর খাদ্য। পরিবারের প্রধান কর্তা বৃদ্ধ জীতেন সূত্রধর অসুস্থ হওয়ায় উপার্জনহীন।পরিবারের গৃহকর্তীও অসুস্থ। সবমিলিয়ে গোটা পরিবার চরম দুর্যোগে।খবরের ঘন্টার মাধ্যমে খবর পেয়ে মানবিক চিকিৎসক ডাঃ শীর্ষেন্দু পাল ওই বাড়িতে গিয়ে তাপসী এবং দীপঙ্করের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন শনিবার। ডাক্তার পাল ওই পরিবারের হাতে কিছু ভিটামিন ও পুষ্টিকর টনিক উপহার হিসাবে তুলে দেন। ডাক্তার পাল দুই ভাইবোনকেই উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগে নিউরোফিজিসিয়ানকে দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। ডাক্তার পাল বলেন,মায়োপ্যাথি অনেক রকমের হয়।কিছু মায়োপ্যাথি বংশগত কারনে হয়।কিছু মায়োপ্যাথি শরীরে কোনো ইনফেকশন থেকে হয়।শরীরে ইনফেকশন থেকে মায়োপ্যাথি হলে পুষ্টিকর খাদ্য এবং ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে রোগীকে সুস্থ করে তোলা যায়।কিছু মায়োপ্যাথি আবার ওষুধে সারে না।এখন ভালো করে পরীক্ষা করে দেখতে হবে তাপসী এবং দীপঙ্করের ঠিক কোন ধরনের মায়োপ্যাথি হয়েছে। ডাক্তার শীর্ষেন্দু পাল আরও বলেছেন,এদের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ এলে কেও যদি একটি স্মার্ট ফোন বা ল্যাপটপের ব্যবস্থা করে তাপসীকে কিছু প্রশিক্ষণ দিয়ে দেন তবে বিছানায় বসেই তাপসী কিছু অর্থ রোজগার করতে পারে। আজকাল অনলাইনে রোজগার করার অনেক উপায় রয়েছে। এছাড়াও তাপসী এবং দীপঙ্কর সরকার থেকে বেকার ভাতা বাবদ কিছু অর্থ রোজগার করতে পারে। বেকার ভাতা বাবদ ওরা যাতে সরকার থেকে কিছু অর্থ পেতে পারে তার উদ্যোগ কেও নিলে খুব ভালো হয় বলেও ডাক্তার শীর্ষেন্দু পাল জানান। ডাক্তার শীর্ষন্দু পাল যেভাবে তাদের বাড়িতে এসে এদিন সাহায্য সহযোগিতা করেছেন তারজন্য পরিবারের গৃহকর্ত্রী ডাক্তার পালকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানান।

বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন —